ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সাগর কোড়াইয়া

নিরাপত্তা ও বিনোদন

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ৫ অক্টোবর ২০১৭

নিরাপত্তা ও বিনোদন

ভৌগোলিক অবস্থানের দিক দিয়ে আমাদের এ দেশ এমন একটা স্থানে রয়েছে যার চারদিকে সবুজের শ্যামলীমা। আবার এদেশের বুকের ওপর দিয়ে আঁকাবাঁকা পথে বয়ে গেছে অগণিত নদ-নদী। সৌন্দর্যের সব রূপ যেন এদেশের মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তাই যুগে যুগে এদেশের বুকে অনেক জ্ঞানী-গুণীজনের আগমন ঘটেছে শুধু এদেশের রূপের জাদুর মায়াবলে। পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো-ডা-গামার ভারতীয় উপমহাদেশে আসার জলপথ আবিষ্কারের বহু পূর্ব থেকেই স্থলপথে পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা এই বঙ্গভূমিতে এসেছেন। বঙ্গভূমির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে তারা অভিভূত হন। ব্যবসা- বাণিজ্যের পাশাপাশি অনেকেই এদেশকে শাসন করার অভিপ্রায়ে লিপ্ত ছিল। কারণ একটাই- এদেশের অতুল প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের আকাক্সক্ষা। অন্যদিকে অনেক বিদেশী পর্যটক এদেশের রূপে মুগ্ধ হয়ে প্রশংসা ও বন্দনায় মুখরিত ছিলেন। দেশের কবি-সাহিত্যিক লেখায়, শিল্পী গানে ও অঙ্কনে এই দেশের সৌন্দর্য তুলে ধরেছেন। বিদেশী পর্যটক ও কবি-সাহিত্যিকের লেখায়ও এদেশের রূপের বর্ণনা পাওয়া যায়। সপ্তম শতাব্দীতে চীনা পর্যটক হিউএন সাংয় এর জীবন্ত উদাহরণ। যিনি ভারতীয় উপমহাদেশ ও বাংলাদেশের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছেন। বাংলাদেশের আয়তন অল্প হলেও এর সৌন্দর্যের কমতি নেই। এদেশের চারদিকে রয়েছে সৌন্দর্যের বেলাভূমি। যেদিকে তাকানো যায় সৌন্দর্যের ছামিয়ানা যেন পাতা। নদী-নালা, খাল-বিল পাহাড়-পর্বত, সমুদ্র সবই যেন প্রকৃতিপ্রেমীকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। ভ্রমণপিয়াসুদের নিরাপত্তার দিকটি সবার আগে সামনে চলে আসে। এছাড়াও যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং পর্যটকদের সকল প্রকার আবাসিক সুযোগ-সুবিধার ঘাটতির কারণেই আমাদের পর্যটন শিল্প ব্যবস্থাপনা মুখ থুবড়ে পড়ার অবস্থা। ফলে আমাদের দেশে পর্যটকদের আগমন কম হওয়ায় পর্যটন শিল্প থেকে আয় কম এবং দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। ইতোমধ্যে পর্যটন শিল্পকে ঢেলে সাজানোর এবং পর্যটকদের আকর্ষণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। দেশের প্রতিটি দর্শনীয় স্থানগুলোতে আবাসিক ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা চৌকি গড়ে তোলা তাই অতীব জরুরী। আসুন আমার সবাই দেশকে ভালবাসি। বিদেশী পর্যটকরাও ভালবেসে এদেশে আসুক। অবলোকন করুক এদেশের বাহারিরূপ। বনানী, ঢাকা থেকে
×