ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নোবেল সাহিত্য পুরস্কার নিয়ে যশ, বিতর্ক ও সমালোচনা

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৪ অক্টোবর ২০১৭

নোবেল সাহিত্য পুরস্কার নিয়ে যশ, বিতর্ক ও সমালোচনা

বৃহস্পতিবার চলতি বছরের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রদানের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে পুরস্কারকেন্দ্রিক কিছু বিতর্ক সামনে চলে এসেছে। ১৯০১ সালে প্রথম এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। তখন থেকে আজ পর্যন্ত যেসব বিষয় নিয়ে বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক এই পুরস্কার বিতর্কিত হয়েছে-তা উল্লেখ করার মতো ঘটনা। এ ক্ষেত্রে বিখ্যাত ফরাসী দার্শনিক জাঁ পল সাত্রের কথা বলা যেতে পারে। তার রাজনৈতিক দর্শনের আংশিক ভিত্তি ছিল প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানসমূহের সমালোচনা। তাকে নোবেল পুরস্কার দেয়া হলে তিনি এই বলে তা প্রত্যাখ্যান করেন, ‘তিনি সব সময়ই আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা গ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন।’ জাঁ পল সাত্রে নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যানকারীদের মধ্যে প্রথম নজির স্থাপন করেন। পরবর্তীতে নোবেল পুরস্কার জয়ীদের অনেকে নোবেল একাডেমির সদস্য হওয়ায় এই পুরস্করের যথার্থতা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হয়। এরা হলেন সুইডেনের স্বল্প পরিচিত দুইজন লেখক আইভিন্ড জনসন ও হ্যারি ম্যাটিনসন। এরা যুগ্মভাবে এই পুরস্কারের অধিকারী হন। তারা ১৯৭৪ সালে পুরস্কার তালিকায় বিবেচনাধীন গ্রাহাম গ্রীন, সল বেলো ও ভøাদিমির নভোকভকে সরিয়ে দিয়ে নিজেরাই এই পুরস্কার গ্রহণ করেন। ১৯৮৯ সালে ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদীকে নোবেল পুরস্কার না দেয়ায় একাডেমির জুরি বোর্ড থেকে জুরিরা ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগ করেন। সে সময় ইরানের ধর্মীয় নেতা আয়তুল্লাহ খোমেনি সালমান রুশদীর বিতর্কিত লেখার জন্য তার মৃত্যুদ-াদেশ ঘোষণা করেছিলেন। এরপর বিগত কুড়ি বছরে দুইজন নোবেল পদক বিজয়ীকে ঘিরে মতপার্থক্যের সৃষ্টি হয়। এদের একজন ইতালির নাট্য রচয়িতা ও অভিনেতা দারিও ফো। তাকে নোবেল একাডেমি ১৯৯৭ সালের একজন ‘ভাঁড়’ বলে কটাক্ষ করে। অপরজন বিখ্যাত গীতিকার ও গায়ক বব ডিলান। তাকে ২০১৬-তে নোবেল পদক দেয়া হয়। কিন্তু তিনি এ বিষয়ে দীর্ঘদিন মৌনতা অবলম্বন করে অবশেষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণে সম্মত হন। -এএফপি
×