ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রেকর্ডম্যান হেরাথে মুগ্ধ চান্দিমাল

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৪ অক্টোবর ২০১৭

রেকর্ডম্যান হেরাথে মুগ্ধ চান্দিমাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আবুধাবী টেস্টে নাটকীয় জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। ১১ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন রঙ্গনা হেরাথ। এর মধ্য দিয়ে টেস্ট ইতিহাসের প্রথম বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে ৪০০ শিকারের মাইলস্টোনে নাম লিখিয়েছেন অভিজ্ঞ এ বোলার। সাম্প্রতিক ব্যর্থতার পর এই সিরিজে মোটেই ফেবারিট ছিল না লঙ্কানরা। তবু শেষদিনের শেষ নাটকের পর ২১ রানের জয়ে দুই টেস্টের সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেছে অতিথিরা। তাও আবার নিয়মিত অধিনায়ক এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস ও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গাকে ছাড়াই। এটা সম্ভব হয়েছে মূলত হেরাথের জাদুকরি বোলিংয়ের কারণে। এর মধ্য দিয়ে প্রথম বোলার হিসেবে কেবল পাকিস্তানের বিপক্ষেই ১০০ টেস্ট উইকেট নেয়ার অনন্য নজিরও স্থাপন করেছেন ৩৯ বছর বয়সী এ অফস্পিনার। ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক দীনেশ চান্দিমাল তাই মুগ্ধ। ‘এটা আসলে বুড়ো শিয়ালের কীর্তি। সত্যি বলতে স্পিনার এবং টিমমেট হিসেবে হেরাথকে পাওয়া যে কোন অধিনায়কের জন্যই ভাগ্যের বিষয়। দলের প্রত্যেক সদস্য অবাক, ৩৯ বছর বয়সে এসেও একজনের পক্ষে এভাবে বোলিং করা সম্ভব? সে আমার ও গোটা দলের জন্য অনুপ্রেরণা। তরুণদের মেন্টর, শিক্ষক। ওর সান্নিধ্যের প্রতিটি মুহূর্তই কাজে লাগাতে চাই।’ বলেন আবেগাপ্লুত চান্দিমাল। প্রথম ইনিংসে ৯৩ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেয়া হেরাথ দ্বিতীয় ইনিংসে ছিলেন আরও বিধ্বংসী। ৬ উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৪৩ রানে। ১১ শিকারে ২১ রানের স্মরণীয় জয়ে অবধারিত ম্যাচসেরাও তিনিই। ৩০০ উইকেট যেদিন নিয়েছিলেন, সেদিন থেকেই লক্ষ্য করেছিলেন ৪০০কে। ফর্ম আর সামর্থ্য নিয়ে সংশয় ছিল না। একমাত্র প্রশ্ন ছিল বয়স। তবে বয়সকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যার ক্রমাগত এগিয়ে চলা, তার সামনে কী আর বয়স বাধা হতে পারে। ৩৯ বছর বয়সেও ক্ষুরধার, ঠিকই পূরণ করলেন লক্ষ্য। বয়সের দিক থেকেও যেমন একটি মাইলফলক ছুঁয়েছেন এই টেস্টে। বয়স ৩৫ পেরোনোর পর (৩৫ থেকে ৩৯ পর্যন্ত) ইতিহাসের প্রথম পেসার হিসেবে স্পর্শ করেছেন ২০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলক। অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি লেগ স্পিনার ক্ল্যারি গ্রিমেটের ১৯২ ছিল আগের রেকর্ড। ৩৫ বছর পেরনোর পর ১৮১টি নিয়েছিলেন আরেক অসি গ্রেট শেন ওয়ার্ন। আরেকটি জায়গাতেও হেরাথের হাত ধরে টেস্টে আরেকটি প্রথমের জন্ম হয়েছে। প্রথম কোন বোলার হিসেবে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০০ উইকেট। অর্থাৎ ৪০০’র মধ্যে ৩ শ’ই পাকিস্তানের বিপক্ষে। এর আগে কপিল দেবের ৯৯ ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বাধিক শিকার। শেষ উইকেটে আরেকটি সেঞ্চুরি পূর্ণ হয়েছে হেরাথের। ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে এখন তার শিকার ঠিক ১০০ উইকেট। এখানে ১৩৮ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে ওয়ার্ন, ১০৬ উইকেট নিয়ে দুইয়ে হেরাথেরই পূর্বসূরি গ্রেট মুরলিধরন। পেসার হিসেবে চতুর্থ ইনিংসে শতাধিক উইকেট আছে গ্লেন ম্যাকগ্রার ঝুলিতে ১০৩টি। সবমিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসের ৪০০ উইকেট পাওয়া চৌদ্দতম বোলার হেরাথ।
×