ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

দারোয়ানের মৃত্যুদণ্ড ভাড়াটিয়ার যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৫:৩৫, ৪ অক্টোবর ২০১৭

দারোয়ানের মৃত্যুদণ্ড ভাড়াটিয়ার যাবজ্জীবন

কোর্ট রিপোর্টার ॥ রাজধানীর উত্তরায় লে. কর্নেল মোহাম্মদ খালিদ বিন ইউসুফের মা মনোয়ারা সুলতানা হত্যা মামলায় বাড়ির দারোয়ানের মৃত্যুদ- ও এক ভাড়াটিয়ার যাবজ্জীবন কারাদ-ের রায় দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদ এ রায় দেন। বিচারক সেই সঙ্গে দণ্ডিতদের দশ হাজার টাকা করে অর্থদ- করেছে। জরিমানা অনাদায়ে বাড়তি এক বছর কারাদ-ের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় দ-িত উভয় আসামি গোলাম নবী ওরফে রবি ও ভাড়াটিয়া লাইলী আক্তার লাবণ্য আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর ট্রাইব্যুনাল আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় । মামলায় জানা যায়, মনোয়ারা বেগম তার স্বামী ডাঃ মোহাম্মদ ইউসুফ মারা যাওয়ার পর রাজধানীর উত্তরার ৯ নং সেক্টরের ৪তলা বাসার দোতলায় একাকী বসবাস করে আসছিলেন। তার তিন ছেলের মধ্যে বড় ছেলে মোহাম্মদ ইকবাল ইউসুফ অস্ট্রেলিয়া এবং ছোট ছেলে মোহাম্মদ আরমান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। মেজো ছেলে লে. কর্নেল মোহাম্মদ খালিদ বিন ইউসুফ সেনাবাহিনীতে কর্মরত। বাড়ির নিচতলা, তৃতীয় তলা ও চতুর্থ তলায় ভাড়াটিয়ারা থাকেন। তৃতীয় তলার ভাড়াটিয়া লাইলী আক্তার লাবণ্য অনৈতিক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়লে মনোয়ারা বেগম তাকে বাসা ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন এবং অন্যথায় পুলিশে ধরিয়ে দেবেন বলে ভয় দেখান। লাবণ্য ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ির দারোয়ান গোলাম নবীকে হাত করে। দুজনে মিলে ২০১৬ সালের ৪ জুন সন্ধ্যায় মনোয়ারা বেগমকে জবাই করে এবং তারা ঘরে থাকা খাটের আলমারি ভেঙ্গে এক লাখ ১৩ হাজার টাকা নিয়ে যায়। মোহাম্মদ খালিদ বিন ইউসুফ উত্তরা-পশ্চিম থানায় মামলা করলে তদন্ত করে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান আদালতে চার্জশীট দেয়। গত ২১ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। ঘটনার পর আসামি গোলাম নবী গ্রেফতার হয়ে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দী দেয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি মোঃ মাহবুবুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন দুদকের প্রসিকিউটর এ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট ফারুক হোসেন।
×