ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ৪ অক্টোবর ২০১৭

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৩ অক্টোবর ॥ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এক ছাত্রলীগ নেতা ও তার সহযোগীদের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে হামলা চালিয়ে ও কুপিয়ে হাবিবুর রহমান নামের এক যুবলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাবিবুর রহমান উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের আতাকরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের ছেলে ও ইউনিয়ন যুবলীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। এদিকে মঙ্গলবার তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাবিবুর রহমান জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের কাকৈরখোলা কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে চাকরি করে আসছিলেন। কর্মস্থলের পার্শ¦বর্তী দক্ষিণ সোনাপুর গ্রামের ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজাদ, তার সহযোগী মোতালেব হোসেন, ইয়াছিন, ছালেহ আহমেদ সবুজ, আবুল কালাম চৌধুরীসহ সঙ্গীয়রা বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় এলাকার মেয়েদের ইভটিজিং করে আসছিল। এসব কর্মকা-ের প্রতিবাদ করায় তারা যুবলীগ নেতা হাবিবের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে হাবিব মোটরসাইকেলযোগে স্থানীয় চৌধুরী বাজার যাওয়ার পথে নারায়ণকরা দক্ষিণপাড়ায় রাস্তার ওপর ছাত্রলীগ নেতা আজাদের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তার গতিরোধ করে। পরে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হাবিবের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ সময় হাবিবের সঙ্গে থাকা জুয়েল ও নবীরের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত হাবিবকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ১১ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে সোমবার গভীর রাতে হাবিব মারা যান। এ ঘটনায় নিহত হাবিবের ভাই কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আজাদ, মোতালেব, ইয়াছিন ও ছালেহ আহমদ সবুজের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি আবুল ফয়সল জানান, মামলার আসামি ছালেহ আহমদ সবুজকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
×