ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সঙ্কট ॥ ভেঙ্গে পড়েছে চিকিৎসাসেবা

প্রকাশিত: ০৫:১২, ৪ অক্টোবর ২০১৭

চৌগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সঙ্কট ॥ ভেঙ্গে পড়েছে চিকিৎসাসেবা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ যশোরের চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক এবং নার্সদের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে চিকিৎসাসেবা ভেঙ্গে পড়েছে। এ অভিযোগ চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও অভিভাবকদের। একদিকে চিকিৎসক সঙ্কট অন্যদিকে যারা আছেন তারা ঠিক সময়ে হাসপাতালে আসেন না। আবার দু’-এক ঘণ্টার জন্য হাসপাতালে এলেও চিকিৎসা না দিয়ে মিটিংয়ের দোহাই দিয়ে এসি রুমে বসে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। গত এক সপ্তাহের প্রতি দিন সরেজমিন এ চিত্রই দেখা গেছে। ২০০৪ সাল থেকে একাধারে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চিকিৎসাসেবায় (প্রসূতি) উপজেলা পর্যায়ের দেশসেরা হাসপাতালটিতে বর্তমানে এ অবস্থা। সোমবার সন্ধ্যায় চৌগাছা হাসাপাতালের পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে এসব দৃশ্য চোখে পড়েছে। ডিউটি চলাকালীন সেখানে কোন নার্স ও চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। চিকিৎসা নিতে ভর্তি হওয়া ভাইরাস জ্বরে আক্রান্ত রোগীরা শুধু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। গত রবিবার উপজেলার আন্দার কোটা গ্রামের গ্রিল মিস্ত্রী লুৎফর রহমান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। জরুরী বিভাগের চিকিৎসক রাশেদ রাব্বি ওই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু পুরুষ ওয়ার্ডে (২য় তলা) কোন চিকিৎসক ও নার্স না পেয়ে তিনি ফিরে যান। উপায়ন্তর না পেয়ে শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করেন বলে তার অভিভাবক আক্তার হোসেন ও ভাতিজা নয়ন হোসেন অভিযোগ করেছেন। ভুক্তভোগী রোগী ও অভিভাবকদের অভিযোগ, চিকিৎসক এবং নার্সদের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েও তারা চিকিৎসাসেবা পাচ্ছেন না। তারা বলছেন, আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। অভিযোগ রয়েছে, ‘প্রসূতিসহ সামান্য দুর্ঘটনার রোগী এলেও হাসপাতাল থেকে ডাক্তার নেই বলে যশোরে রেফার্ড করে দেন চিকিৎসকরা।’ আবার কোন কোন চিকিৎসক বেসরকারী ক্লিনিকে ভর্তির জন্যও পরামর্শ দেন। সব মিলিয়ে একাধারে ১০ বছর ধরে দেশসেরা হাসপাতালটিতে এখন করুণ দশা বিরাজ করছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার সেলিনা বেগম বলেন, ‘বর্তমানে হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎসক না থাকায় রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ সমস্যার কথা উর্ধতন মহলকে জানিয়েছি।’
×