ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরাইলের মেঘনায় ফের ভাঙ্গন

প্রকাশিত: ০৫:১১, ৪ অক্টোবর ২০১৭

সরাইলের মেঘনায় ফের ভাঙ্গন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে মেঘনায়। পানিশ্বর গ্রামসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা ভাঙ্গনের মুখে। গত কয়েক বছরে ভাঙ্গনের মুখে পড়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বেশকিছু বাড়িঘর, চাতালসহ নানা ব্যবসায়িক স্থাপনা। এতে ক্ষতি হয় কয়েক কোটি টাকার সম্পদ। একের পর এক ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তরা ভিটেবাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে অনেকটাই দিশাহারা হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে অনেকের ব্যাংকঋণসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া মোটা ঋণের চাপে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। গত কয়েকদিন আগের ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৫-৭টি চাতালসহ বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি। কিন্তু এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টরা প্রয়োজনীয় কোন উদ্যোগ না নেয়ায় আবারও নতুন করে ভাঙ্গনে পড়েছে দু’পারের মানুষ। গত এক সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে মেসার্স তিনতারা অটোরাইস মিল, মেসার্স রহমানিয়া অটোরাইস মিল, মেসার্স খাজা অটোরাইস মিলসহ আরও ৫-৭টি বসতবাড়ি। মেঘনার তীরঘেঁষে গড়ে উঠেছে উপজেলার পানিশ্বর গ্রাম। এখানে রয়েছে প্রায় অর্ধশত বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাজার। এ বাজারে রয়েছে প্রায় দুই শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গ্রামটির জনবসতি প্রায় ২০ হাজারের মতো। প্রতি বছরই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে গ্রামের আয়তন। ঘরবাড়িসহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হারিয়ে প্রতিনিয়তই নিঃস্ব হচ্ছে গ্রামের বাসিন্দারা। টাঙ্গাইলের কালিহাতী নিজস্ব সংবাদদাতা টাঙ্গাইল থেকে জানান, কালিহাতীর গরিলাবাড়ি গাইড বাঁধ এলাকায় যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গাইড বাঁধের বাইরে প্রায় ৮শ’ মিটার যমুনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে অন্তত ৪০টি বসতভিটা, ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে যমুনা নদীর এ অংশে ভাঙ্গন ও ধসের ঘটনা ঘটে। ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের লোকজন এর আগে দুটি ধসে যাওয়া স্থানে কিছু জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন প্রতরোধে ব্যবস্থা নেয়। তবে তা কোন কাজেই আসছে না। সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১০০ মিটার পাথর ও ১৮ মিটার ব্লক দিয়ে বিগত ২০০৩ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু রক্ষার জন্য বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি অসাধু মহল বাঁধের কোলঘেঁষে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলনের ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এর ফলে নদীর তলদেশের নিচের অংশের মাটি সরে গেছে। আর সে কারণেই ধসের ঘটনা ঘটছে। ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে বাঁধের পাশের সাতটি গ্রাম। গ্রামগুলো হলো গরিলাবাড়ি, বেলটিয়া, আলীপুর, বুরুপবাড়ি, পৌলিরচর, দৌগাতি ও বেড়িপটল। এখনই স্থায়ী ব্যবস্থা না নিলে ভাঙ্গন ব্যাপক আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
×