ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ওরাল ক্যান্সার

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ৩ অক্টোবর ২০১৭

ওরাল ক্যান্সার

ওরাল ক্যান্সার সাধারণত স্কোয়ামাস সেল কারসিনোমা জাতীয় হয়ে থাকে। যে সব স্থানে বেশি হয়ে থাকে সেগুলো হলো- ঠোঁট, জিহ্বার পাশের অংশ এবং মুখগহ্বরের উপরিভাগে। ঠোঁটের ক্যান্সার সাধারণত নিচের ঠোঁটে বেশি হয়ে থাকে। নিচের ঠোঁটে ক্রমাগত সূর্যের আলো পড়তে থাকলে এবং যারা সব সময় এবং দীর্ঘদিন সূর্যের আলোতে কাজ করে থাকেন তাদের নিচের ঠোঁট ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। যাদের গায়ের রঙ সাদা তারা ক্যাান্সারের বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকেন। আবার ঠোঁটের নির্দিষ্ট একটি জায়গায় সিগারেট ধরে ধূমপান করলে সে স্থানটিতে ক্যান্সার রোগের সৃষ্টি হতে দেখা যায়। এ্যালকোহল সেবন এবং ধূমপান মুখের ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। এছাড়া পান, সুপারি, গুল, খৈনিও মুখে ক্যান্সারের সৃষ্টি করে থাকে। প্রিম্যালিগন্যান্ট লিশন বলতে বোঝায় ক্যান্সারের পূর্বাবস্থার রোগ। প্রিম্যালিগন্যান্ট লিশন বা ওরাল ক্যান্সারের পূর্বরোগগুলোর মধ্যে ইরাইথ্রোপ্লাকিয়া অথবা লিউকোপ্লাকিয়া অন্যতম। লিউকোপ্লাকিয়া সন্দেহজনক হলে বায়োপসি বা কোষ পরীক্ষা করা জরুরী। এইচআইভি ভাইরাস ব্যাপকভাবে বিস্তারের কারণে ওরাল লিস্ফোমা এবং ক্যাপোসিস সারকোমা জাতীয় ক্যান্সার এখন তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়। মুখের ক্যান্সারের মধ্যে লালাগ্রন্থির টিউমারগুলোর মধ্যে প্লিওমরফিক এডেনোমাই উল্লেখযোগ্য। কিন্তু প্যারেটিড লালাগ্রন্থির চেয়ে সাবলিংগুয়াল এবং সাবম্যান্ডিবুলার লালাগ্রন্থিতেই ক্যান্সার হতে বে॥িশ দেখা যায়। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে লালাগ্রন্থির সবগুলোতেই ক্যান্সারের হার বেশি। ওরাল রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক মানসিক চাপ দেখা যেতে পারে। কথা বলতে সমস্যা বা খাবার গলধঃকরণে সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাই ওরাল ক্যান্সার বা যে কোন ধরনের ক্যান্সারের রোগীদের অবহেলা না করে দ্রুত যথাযথ চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ মোবাইল : ০১৮১৭৫২১৮৯৭ ই-মেইল : [email protected]
×