ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাস্তার দুধারে বিপুল জনসমাবেশ ঘটাবে আওয়ামী লীগ

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার দিন গণসংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ৩ অক্টোবর ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার দিন গণসংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তুতি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফেরার দিন আগামী ৭ অক্টোবর বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত রাস্তার দুইধারে মানুষের ঢল নামিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গণসংবর্ধনা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। সংবর্ধনায় দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও বিমানবন্দরে দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা ও বরণ করে নেবে দলটি। গণসংবর্ধনা সফল করতে মঙ্গলবার যৌথসভা ডেকেছে ক্ষমতাসীন দলটি। যৌথ সভায় দলটির বিভিন্ন সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাড়াও বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক করবেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানম-ির কার্যালয়ে এই যৌথসভা অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপ দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া জনকণ্ঠকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দক্ষ-সাহসী ও মানবিক নেতৃত্ব দিয়ে বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার অবিস্মরণীয় ভূমিকা সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। এসব কারণে দেশের ১৬ কোটি জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার দিন তাকে সংবর্ধনা দেয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে। আজকের যৌথসভায় জনদুর্ভোগ এবং প্রধানমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনায় নিয়ে গণসংবর্ধনা প্রদানের প্রস্তুতি কী মাত্রায় নিয়ে যাওয়া হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে প্রস্তুতির সঙ্গে জড়িত একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৭ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরার দিন তাকে গণসংবর্ধনা দিতে বিমানবন্দর থেকে গণভবন পর্যন্ত পথে পথে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানো হবে। মূল সড়কের দুই পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা দেয়া হবে। আজকের বৈঠকে গণসংবর্ধনার স্পট নির্ধারণ করা হবে। আরও জানা গেছে, শুধু আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যরাই নন, প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার সময় বিমানবন্দরে দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্বরাও তাকে বরণ করে নেবেন এবং ফুলেল শুভেচ্ছায় ¯œাত করবেন। আর গণভবনে উপস্থিত থাকবেন দলীয় নেতা ছাড়াও শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীরা। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন তিনি। পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা ছাড়াও বেশ কয়েকজন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নেন তিনি। সাধারণ অধিবেশনে বক্তৃতায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কট ও বাংলাদেশের ওপর শরণার্থীদের চাপের বিষয়টি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। সাধারণ অধিবেশন শেষে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক থেকে ভার্জিনিয়ায় যান তিনি। সেখানে যাওয়ার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি হাসপাতালে তার পিত্তথলিতে অস্ত্রোপচার হয়। ১০ হাজার রোহিঙ্গার মাঝে খাদ্য পাঠিয়েছে যুবলীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে আগত ১০ হাজার শরণার্থীদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছে আওয়ামী যুবলীগ। ১০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় খাবারের আইটেম দিয়ে ওইসব ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেটজাতকরণ করে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। সোমবার দুপুরে ঢাকার মতিঝিল থেকে এ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যুবলীগ নেতৃবৃন্দ রওনা দেন বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তমব্রু সীমান্তে। এর আগে গত রবিবার ইসমাইল হোসেন সম্রাটের সার্বিক তত্ত্বাবধানে মতিঝিল মোহামেডান ক্লাব প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী। এ সময় অন্যদেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা। এ সময় যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার অসামান্য কূটনৈতিক সাফল্যের কারণে রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রসমূহ ঐক্যবদ্ধভাবে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে ইতোমধ্যেই রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার ভূমিকা প্রশংসিত হচ্ছে সর্বত্র। এবার সঙ্কট তৈরির পর এর স্থায়ী সমাধানে বিশ্বব্যাপী বাস্তবমুখী ভূমিকা নিয়েছেন তিনি নিজেই। যিনি বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানাকে দ্বিগুণ করতে পারেন, কেবলমাত্র সেই শেখ হাসিনার দ্বারাই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান সম্ভব।
×