ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

১১০ বাংলাদেশী আটক

মালয়েশিয়ায় ফের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ৩ অক্টোবর ২০১৭

মালয়েশিয়ায় ফের অবৈধ অভিবাসী বিরোধী অভিযান

ফিরোজ মান্না ॥ মালয়েশিয়ায় আবার পুলিশ অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। গত দুই দিনে আরও ১১০ জন কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। গত জুলাইতে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশী কর্মী আটক করেছে। আটককৃত কর্মীদের বিভিন্ন ‘ডিটেনশন সেন্টারে’ রাখা হয়েছে। তখন দেশটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে কর্মীদের অবস্থার সার্বক্ষণিক খবরা খবর রেখেছে পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি আটকের বিষয়ে পররাষ্ট্র এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কোন কর্মকর্তা কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। তবে আগে আটককৃতদের বিষয়ে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছেÑ তারা যাতে মালয়েশিয়ায় বৈধ হওয়ার সুযোগ পান। বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে এখনও কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। মালয়েশিয়া থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, গত দুই দিনে পরিচালিত অভিযানে ১১০ জনের বেশি বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন দফতর দেশটির অনন্ত ১৫টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়। আটককৃতদের বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়েছে। তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, দেশটিতে এটি তাদের নিয়মিত অভিযান। এই আটক জুলাই মাসের আটকের মতো কোন ঘটনা নয়। মালয়েশিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশন সূত্র জানিয়েছে, গত দুই দিনে কতজন কর্মী আটক হয়েছে তা বাংলাদেশ দূতাবাসকে জানায়নি। এই আটক নিয়মিত অভিযানের মতো কোন ঘটনা হতে পারে। তারা অবৈধ কর্মী আটক করলেও ২০১৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈধ করণ কর্মসূচী বহাল রয়েছে। তবে যারা ছাত্র, ট্যুরিস্ট ও বিভিন্নভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করেছে তাদের সংখ্যা জানার জন্য ই-কার্ডের ঘোষণা দেয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এই সময় সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল। যারা এর আওতায় আসতে পারেনি তারাই আটক হচ্ছে। যারা ই-কার্ডের আওতায় এসেছে তারা ‘রিহায়ারিং’ কর্মসূচীর মাধ্যমে বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ পাচ্ছেন। যাদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে তাদের আবার কোম্পানির মালিকরা রিহায়ারিংয়ের মাধ্যমে চাকরি নিচ্ছেন। হাইকমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ই-কার্ড নেয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার চালানো হচ্ছে। কিন্তু অনেকেই পুলিশের ভয়ে দূতাবাসে আসতে সাহস করে না। তবে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে রিহায়ারিং কার্যক্রমের আসা কোন কর্মীকে যেন তারা আটক না করে। এরপরেও কেউ আবার দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ছে। মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চলছে।
×