ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গ্যাসক্ষেত্র কিনে শেভরনকেই পরিচালনায় রাখতে চায় সরকার

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ৩ অক্টোবর ২০১৭

গ্যাসক্ষেত্র কিনে শেভরনকেই পরিচালনায় রাখতে চায় সরকার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মার্কিন বহুজাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি শেভরনের মালিকানায় থাকা বিবিয়ানা, মৌলভীবাজার ও জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের সম্পদ কিনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে এসব ক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন পরিচালনার জন্য শেভরনকে অগ্রাধিকার দিতে চায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়। শেভরনের সম্পদ কেনার সিদ্ধান্তকে ইতিবাচকভাবে দেখলেও এসব গ্যাসক্ষেত্র পরিচালনার ভার শেভরনকে দেয়া সমর্থন করছেন না বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশ থেকে বিনিয়োগ গুটিয়ে নিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিবিয়ানা, মৌলভীবাজার ও জালালাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের দুই বিলিয়ন ডলার সম্পদের পুরোটাই চীনা কোম্পানি হিমালয় এনার্জির কাছে বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু করেছিল শেভরন। পেট্রোবাংলাকে না জানিয়ে মালিকানা হাতবদলে শেভরনের এমন উদ্যোগে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। পাশাপাশি শেভরনের সম্পদের সমীক্ষা করতে ব্রিটিশ কোম্পানি উড ম্যাকেঞ্জিকে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে ইতিবাচক সায় পাওয়ার পর গ্যাসক্ষেত্র তিনটি কিনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমাদের সম্পদ আমরা কিনে নিচ্ছি। আমাদের সম্পদ একটা কোম্পানি তুলছে, আমরা তাদের কাছ থেকে একটা অংশ নিচ্ছি। চা রফতানিতে আয় বাড়ছে অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) চা রফতানিতে রেকর্ড পরিমাণ আয় হয়েছে। অর্থবছর শেষ হওয়ার ১০ মাস আগেই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৮ লাখ ডলার বেশি আয় হয়েছে চা রফতানি করে। এ দুই মাসে চা রফতানি করে আয় হয়েছে ৮৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯৮৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। এ দুই মাসে চা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮ লাখ ২০ হাজার ডলার। শুধু তাই নয়, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় রফতানি আয় বেড়েছে দুই হাজার ৬৭৫ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে চা রফতানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চায়ের উৎপাদন বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ভালমানের চায়ের রফতানিও বাড়ছে। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপ-পরিচালক (পরিকল্পনা) মুনির আহমেদ বলেন, ‘গত অর্থবছরে চাহিদার তুলনায় প্রায় ১০ মিলিয়ন কেজি বেশি চা উৎপাদন বেশি হয়েছে। ওই অতিরিক্ত চা এখন বিভিন্ন দেশে রফতানি হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘চায়ের উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভালমানের চা বিভিন্ন দেশে পাঠানো যাচ্ছে। এর ফলে চা রফতানি আয়ে রেকর্ড হয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে যে পরিমাণ চা রফতানি হয়েছিল, এ বছর তারচেয়ে অতিরিক্ত আরও এক মিলিয়ন কেজি চা রফতানি হয়েছে।’ চা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালে ১৬২টি বাগানে চা উৎপাদন হয়েছে প্রায় সাড়ে আট কোটি কেজি। এ সময় চায়ের চাহিদা ছিল ৮ কোটি ১৬ লাখ কেজি।
×