ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে একধাপ উন্নতি ঢাকা আবাহনীর

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ৩ অক্টোবর ২০১৭

ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে একধাপ উন্নতি ঢাকা আবাহনীর

স্পোটর্স রিপোর্টার ॥ এমনিতেই পয়েন্ট টেবিলের প্রায় তলানিতে। তার ওপর আক্ষেপের হার নিয়ে মাঠ ছাড়া। আরেকটু সময় পেলে আর পূর্ণশক্তির দল নিয়ে খেললে হয়ত রুখেও দিতে পারত লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। কিন্তু সেটি আর হলো কই, ব্রাদার্স ইউনিয়ন লিমিটেড হেরে গেল ৩-২ গোলে, ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের কাছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সোমবার থেকে এবং ১৭ দিন বিরতির পর আবারও শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের খেলা। এদিন নবম রাউন্ডের প্রথম এই ম্যাচের প্রথমার্ধে আবাহনী এগিয়ে ছিল ৩-১ গোলে। এটা আবাহনীর টানা তিন ম্যাচে জয়। আর ব্রাদার্সের টানা চার ম্যাচে হার। নিজেদের নবম ম্যাচে এটা ১৬ বারের লীগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর ষষ্ঠ জয়। ২০ পয়েন্ট তাদের। সাইফ স্পোর্টিংকে টপকে উঠে এলো পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে। পক্ষান্তরে সমান ম্যাচে এটা দুইবারের লীগ চ্যাম্পিয়ন ব্রাদার্সের ষষ্ঠ হার। ৫ পয়েন্ট নিয়ে তারা রয়ে গেছে আগের একাদশ স্থানেই (১২ দলের মধ্যে)। ম্যাচের শুরুতে আবাহনী ৪-৩-৩, আর ব্রাদার্স খেলে ৪-৪-২ ফর্মেশনে। তবে আক্রমণ, প্রাধান্য বিস্তার এবং গোল স্কোরিংয়ে এগিয়ে ছিল আবাহনীই। ৬ মিনিটে ডানপ্রান্তে বক্সের কাছে ফ্রিকিক পায় গোপীবাগের দল ব্রাদার্স। মিডফিল্ডার মিঠু ভুঁইয়ার স্পট কিক লাফিয়ে ওঠে সরিয়ে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। ১০ মিনিটে রায়হানের লম্বা থ্রো বক্সে পেয়ে শট নিতে যান ঢাকা আবাহনীর নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকা ডার্লিংটন। কিন্তু বলের পিছু ছুটেও নাগালই পাননি এই ফরোয়ার্ড। বরং তার আগেই বল ক্লিয়ার করেন ব্রাদার্সের ডিফেন্ডার ইউসুফ আলী খান। ১৪ মিনিটে আবাহনীর বক্সের বাইরে থেকে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে বল বাড়ান মিঠু। বক্সে বল পেয়ে ডান পায়ে শট নেন কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিও জুনাপিও। তবে শট দুর্বল ছিল। তাই সহজেই বল ধরে ফেলেন আবাহনীর গোলরক্ষক। ১৭ মিনিটে ওয়ালী ফয়সালের কর্নারে উড়ন্ত বলে লাফিয়ে উঠে হেড নেন নাসির উদ্দিন চৌধুরী। ব্রাদার্সের ডিফেন্ডার আল-আমিন চেষ্টা করেন পোস্টে ঢুকে বল ক্লিয়ার করতে। কিন্তু তার মাথা ছুঁয়ে বল ঢুকে যায় জালে। আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় আবাহনী (১-০)। ৩৩ মিনিটে আবাহনীর ইমন মাহমুদের বাড়িয়ে দেয়া বল বক্সে পেয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এমেকা ডালির্ংটন (২-০)। ৪১ মিনিটে লেফট ব্যাক ওয়ালী ফয়সালের কর্নার থেকে হেডে গোল করেন ফরোযার্ড নাবিব নেওয়াজ জীবন (৩-০)। ৪৫ মিনিটে মিঠুর পাসে আবাহনীর জালে বল পাঠিয়ে ব্যবধান কিছুটা কমান ব্রাদার্সের হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড অগাস্টিন ওয়ালসন (১-৩)। ৫৮ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হয় ব্রাদার্স। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে বিধি বহির্ভূতভাবে ফাউল করেন আরিফ খান জয়। সেই সঙ্গে রেফারি মিজানুর রহমানের সঙ্গে তর্কেও জড়ান। জয়কে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখিয়ে মাঠছাড়া করেন রেফারি। তবে তাতেও আশাহত হয়নি ব্রাদার্স। চালিয়ে যায় লড়াই। ৮৭ মিনিটে কাউন্টার এ্যাটাকে যায় তারা। ডানপ্রান্ত থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে আলতো করে বল তুলে দেন জুনাপিও। বা পোস্টের কাছ থেকে নিচু হেডে আবাহনীর গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ঘানাইয়ান ফরোয়ার্ড টুয়াম ফ্রাঙ্ক (২-৩)। তারপরও হার এড়াতে পারেনি ব্রাদার্স। তিন পয়েন্ট পেয়ে প্রসন্নচিত্তেই মাঠ ছাড়ে আবাহনী।
×