ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বোলারদের নৈপুণ্যে খুশি ডুপ্লেসিস

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ৩ অক্টোবর ২০১৭

বোলারদের নৈপুণ্যে খুশি ডুপ্লেসিস

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ পোচেফস্ট্রম টেস্ট জয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে যাওয়ার পর দারুণ খুশি ফাফ ডুপ্লেসিস। স্বাগতিক অধিনায়ক বলেন, ‘আমি আসলে খুব খুশি। বিশেষ করে চার-পাঁচ দিন ধারাবাহিক পারফর্মেন্সর জন্য। এটা ঠিক পোচেফস্ট্রমের কন্ডিশন নিয়ে আমরাও খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলাম না। শুরুতে এখানে বোলারদের জন্য তেমন কিছু ছিল না। ধীরগতির পিচ ছিল ব্যাটসম্যানদের অনুকূলে। কিন্তু আমাদের বোলাররা অসাধারণ করেছে। বৃষ্টিতে চতুর্থ দিনের খেলা কিছুটা নষ্ট হওয়ার পর পঞ্চম দিনে আসলেই দুর্দান্ত বোলিং করেছে। এমনিতে মরকেল ছিল না। কিন্তু কাগিসো রাবাদা আর কেশব মহারাজ ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করেছে। সেøা পিচ আর মেঘলা আবহাওয়ার মধ্যেও মহারাজ বল টার্ন করিয়েছে। আশা করছি পরের টেস্টের উইকেট আমাদের চরিত্র (বাউন্সি) মতো হবে। ব্লুমফন্টেইনে শুক্রবার শুরু সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ১ রানের জন্য ডাবল সেঞ্চুরি হয়নি ডিন এলগারের। ১৯৯ রানের বড় ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়া প্রোটিয়া ওপেনার বলেন, ‘ডাবল সেঞ্চুরির না হওয়ায় আমার কোন হতাশা নেই। ফ্লাট উইকেটেও দল জিতেছে বলেই বেশি ভাল লাগছে। এজন্য বোলারদেরই বেশি কৃতিত্ব দিতে হবে। শুরুতে আমি এইডেন মার্করামকে সাস দিয়ে ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেছি। কারণ এটা ছিল ওর অভিষেক টেস্ট। সে সেঞ্চুরি পায়নি। কিন্তু দারুণ খেলেছে। আশা করছি আমাদের ওপেনিং জুটিটা জমে উঠবে। সর্বশেষে ফ্লাট পিচে এমন সাফল্যের জন্য আমি বোলারদের আবারও ধন্যবাদ দিচ্ছি।’ সাফল্যের মাঝেও স্বাগতিকদের হতাশা ইনজুরির কারণে গোট সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন সেরা পেসার মরনে মরকেল। সতীর্থ টেম্বা বাভুমা বলেন, ‘ওকে না পাওয়াটা আমাদের জন্য খুব হতাশার। এটা বড় একটা ধাক্কা। সৌভাগ্যবশত আমাদের দলে কাগিসো (রাবাদা), কেশব (মহারাজ), ডায়ানে (অলিভিয়ের), আন্দিলে (ফেলুকওয়ায়ো) আছে। ওরা এখানে সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে। আশা করছি দ্বিতীয় টেস্টে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমাদের বোলিং ইউনিট খুব সুশৃঙ্খল। ছেলেরা নেটে কঠোর পরিশ্রম করছে, এই জায়গাটায় উন্নতি করতে। হতাশার ম্যাচে বাংলাদেশের প্রাপ্তি লিটন কুমার দাসের দুরন্ত কিপিং। কিপিং গ্লাভসটা নিজের হাত থেকে অন্যের হাতে দিতে বেশ আপত্তি ছিল টাইগার ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহীমের। কিন্তু তাকে বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে পেতেই দলের সিদ্ধান্ত ছিল বাড়তি একজন উইকেটকিপার একাদশে অন্তর্ভুক্ত করা। এরপরও পোচেফস্ট্রুম টেস্টে ব্যাটিংয়ে তেমন কিছুই করতে পারেননি মুশফিক। তবে কিপিং করে দলের তো বটেই, প্রতিপক্ষ শিবিরের প্রশংসা আদায় করে নিলেন লিটন দাস। লিটনকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান টেম্বা বাভুমা। বাভুমার প্রিয় শট প্যাডেল সুইপ। এই শটে তার আউট হওয়ার নজিরও কম। রান এসেছে প্রচুর। কিন্তু চতুর্থ দিনে মুমিনুল হকের বলে লিটনের অসাধারণ নৈপুণ্যে বোকা বনে গেছেন তিনি। বাভুমা বললেন, ‘এভাবে কখনও আউট হইনি। আমি এমন একটা শট খেলেছি, যেটা প্রচুর খেলি। আমি মনে করি, কিপার ক্যাচটা নিতে বিশেষ কিছু করেছে। ওর দক্ষতা অসাধারণ।’ কেবল নিজের আউট নয়, দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি ককের স্টাম্পিংটাও মনে ধরেছে বাভুমার। তিনি আরও বলেন, ‘গ্লাভস হাতে ওর ম্যাচটা দারুণ কেটেছে। এমন একটা উইকেটে চমৎকার কিপিং করেছে যেখানে স্পিনে বাউন্স অসমান। ও খুব ভালভাবে সামলেছে এই টেস্টে।’ যাকে নিয়ে এত প্রশংসা সেই লিটন দাস অবশ্য জানিয়েছেন প্যাডেল সুইপে এটা তার দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ক্যাচ। বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কায় গল টেস্টে নিরোশান ডিকওয়েলার একটা ক্যাচ নিয়েছিলাম এভাবে। কিপিং সবসময় উপভোগ করি। কখনও মিস হয়ে যায়, কখনও ভাল কিছু হয়। এটাই আসলে খেলা।’
×