ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাবি এ্যালামনাই’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সাত গুণীজনকে সম্মাননা

প্রকাশিত: ০৪:২০, ৩ অক্টোবর ২০১৭

ঢাবি এ্যালামনাই’র প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সাত গুণীজনকে সম্মাননা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা ইউনিভার্সিটি এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি (মরণোত্তর)-কে সম্মাননা ও ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন স্বর্ণপদক ২০১৭’ প্রদান করা হয়েছে। শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে অনন্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ তাদের এ সম্মান জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের এ্যালামনাই ফ্লোরে রবিবার বিকেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গুণীজনদের মধ্যে স্বর্ণপদক ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেয়া হয়। এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারের সঞ্চালনায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ আখতারুজ্জামান। ঢাবি এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে অনুষ্ঠান আয়োজনে যৌথভাবে উদ্যোগ নেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি হল ও ২৬টি বিভাগের এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশন। আজীবন সম্মাননা ও পদকপ্রাপ্ত ইমেরিটাস অধ্যাপকরা হলেন- শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. সুলতানা সারওয়াতারা জামান, দর্শন বিভাগের ড. আবদুল মতীন, ইংরেজী বিভাগের ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলা বিভাগের ড. আনিসুজ্জামান, উইমেন এ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ড. নাজমা চৌধুরী, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি ও ফার্মাকোলজি বিভাগের ড. আবুল কালাম আজাদ। ঢাবি এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিচারপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে মরণোত্তর সম্মাননা প্রদান করা হয়। সাবেক এই বিচারপতির পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তার মেয়ে জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামোই নয়, জ্ঞানের সুবিস্তারেও এ্যালামনাই এ্যাসোসিয়েশনের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শুধু জ্ঞান চর্চায়ই সীমাবদ্ধ ছিল না, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন ও সচেতনতায় সর্বাগ্রে ছিল। পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন উপাচার্য আখতারুজ্জামান। তিনি বলেন, আমার দায়িত্ব হবে আপনাদের উপদেশ, মতামত, জীবনাদর্শকে আমার ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সুষ্ঠু সুন্দর নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত করা।
×