ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নড়াইলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর করল পুলিশ ॥ বিচার দাবি

প্রকাশিত: ০৪:২০, ৩ অক্টোবর ২০১৭

নড়াইলে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ভাংচুর করল পুলিশ ॥ বিচার দাবি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল, ২ অক্টোবর ॥ নড়াইলে চাকই গ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের তিনটি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে সোমবার দুপুরে সদর উপজেলার চাকই বাজারে মানববন্ধন করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের নারী ও শিশুরা। পুলিশ ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি থেকে তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, পুলিশের ভয়ে পুরুষেরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, রবিবার দুপুরে নড়াইলের সীমান্তবর্তী যশোরের অভয়নগর উপজেলার নিমতলা এলাকায় মির্জাপুর গ্রামের জুয়েল শেখকে দুর্বৃত্তরা মারধর করে। জুয়েল নড়াইলের বিছালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলামের সমর্থক। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ জুয়েলকে মারধরের ঘটনায় ১ অক্টোবর বিকেলে অতর্কিতভাবে পুলিশ এসে তাদের বাড়িঘরে ভাংচুর চালায়। বিছালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চাকই গ্রামের ইদ্রিস শেখের স্ত্রী শাহিনা বেগম বলেন, ১০- ১২ জন পুলিশ এসে আমাদের ঘরে ঢুকে ভাংচুর শুরু করে। ঘরের চেয়ার, বাক্স, ফ্যান, হাঁড়ি-পাতিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর চালায়। আমাদের বাড়ির একটিসহ তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে পুলিশ। এরপর থেকে পুলিশের ভয়ে পুরুষেরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ইদ্রিস শেখের মেয়ে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্বর্ণালী অভিযোগ করে বলেন, বিছালী পুলিশ ক্যাম্পের এসআই খায়রুলের নেতৃত্বে আমাদের বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। আসবাবপত্র ভাংচুরের পাশাপাশি রান্নাঘরের চুলা ও চালের পাতিল ভেঙ্গে ফেলেছে। ঘরের ভেতরে থাকা বাক্স ভেঙ্গে ৫০ হাজার টাকাও নিয়ে গেছে। আমার বাবাকে গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছে পুলিশ। স্বর্ণালী প্রশ্ন রেখে বলেন, আমাদের কেউ অপরাধী হলে, তার বিচার হোক। কিন্তু পুলিশ কেন বাড়িঘর ভাংচুর করবে। চাকই গ্রামের হেমায়েত বিশ্বাসের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, পুলিশ এসে আমাদের চেয়ার, শোকেসসহ আসবাবপত্র ভাংচুর করে। এছাড়া অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয়ভীতি দেখায়। এলাকার দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিয়ে পুলিশের এ ধরনের ভূমিকায় আমরা হতবাক! এর রহস্য কী? সদর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজ আলী দাবি করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে না থাকায় তাদের বাড়িতে পুলিশ দিয়ে হামলা ও লুটপাট করা হয়েছে। বিছালী ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদকে কেন্দ্র করে এলাকায় কিছুদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। আমি এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তবে, এ ঘটনায় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
×