ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বাস মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ০৪:১০, ৩ অক্টোবর ২০১৭

বাস মালিক-শ্রমিক সংঘর্ষ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ২ অক্টোবর ॥ সোমবার দুপুরে বাস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে বাসের সিরিয়াল দেয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় পালং মডেল থানার ওসি (তদন্ত ) হুমায়ুন কবীরসহ ১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, শরীয়তপুর থেকে মাওয়া রুটে বাসের সিরিয়াল নেয়াকে কেন্দ্র করে মালিক পক্ষের নাছির বেপারি ও শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন তালুকদারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় । শ্রমিক নেতা সুমন তালুকদারের দাবি শ্রমিক ইউনিয়ন সিরিয়াল দেবে। অপরদিকে মালিক পক্ষে নাছির বেপারির দাবি, মালিকরা সিরিয়াল দেবে। এ নিয়ে সকাল থেকে বাসস্ট্যান্ডে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও রামদা, ছেনদা, টেটা, হকিস্টিকসহ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আধা ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় পালং মডেল থানার ওসি হুমায়ুন কবীর উভয় গ্রুপের মধ্যে সমঝোতার জন্য এগিয়ে গেলে হামলাকারীদের ইটের আঘাতে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও সংঘর্ষে জাকির মাদবর, লিটন ছৈয়াল, নিজাম বেপারি, নাছির বেপারি, জাকির কাজি, রাজুসহ ১০জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উত্তেজিত শ্রমিকরা মালিক সমিতির কার্যালয়ে হামলা করে চেয়ার-টেবিলসহ ৪/৫টি বাস ভাংচুর করেছে। শ্রমিকরা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজম মাদবর, মাহমুদুল্লাহ, শাহ আলম, মতলব হাওলাদার ও আতিক চৌকিদারকে আটক করেছে। বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু বেপারি বলেন, বাসের সিরিয়াল দেয়ার কথা মালিক সমিতির। কিন্তু শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের পক্ষে সিরিয়াল দিতে চায়। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় শ্রমিকরা মালিক সমিতির কার্যালয়ে হামলা করে চেয়ার, টেবিল ভাংচুরসহ ৪/৫টি বাস ভাংচুর করে এবং লোকজনকে আঘাত করেছে। এ সময় মালিক সমিতির লোকজন প্রতিরোধ করেছে। পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে তাদের ওপর হামলা করে।
×