ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত: ০৫:২৫, ১ অক্টোবর ২০১৭

 ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা

প্রজনন মৌসুমে শনিবার রাত ১২ টা থেকে ইলিশ ধরা, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও বিক্রির নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। দেশে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, শনিবার মধ্যরাত থেকে আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত সাধারণত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এ সময় পূর্ণিমার তিন দিন আগে থেকে ও অমাবস্যার চার দিন পর পর্যন্ত প্রজনন সময়। খবর বাসসর। ভরা মৌসুমে ঝাঁকে ঝাঁকে ডিমওয়ালা মা ইলিশ সাগর থেকে উপকূলীয় লোনা পানিতে এসে ডিম ছাড়ে। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি ও সংরক্ষণের জন্য জেলার মদনপুর ও চরইলিশা থেকে চরপিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালী জেলার চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মা ইলিশের অভায়শ্রম। এ সময় নির্ধারিত স্থানে জাল ফেলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া সমুদ্র উপকূলীয় ৭ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকায় এ সময় সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জানান, এ বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ শিকার না করার জন্য ইতোমধ্যে জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। এছাড়া মাইকিং, পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট ও প্রচার মাধ্যমে জনসাধরণকে সচেতন করা হচ্ছে। ইলিশ মাছ শিকার নিষিদ্ধ হওয়ায় জেলেদের মাঝে এই সময়ে সরকারী চাল বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল করিম বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ। একে রক্ষা করার দায়িত্ব সকলের। তাই নির্ধারিত সময়ে জেলে, মৎস্য ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে ইলিশ আহরণ, ক্রয়, বিক্রয় ও বরফ উৎপাদন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
×