ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে সাগরে

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ১ অক্টোবর ২০১৭

চট্টগ্রামে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে সাগরে

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে পুলিশের হিসাব অনুযায়ী নগরীর ২৩৩টি পূজামন্ডপে শনিবার দুর্গাপূজা শেষে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুসারীরা। বঙ্গোপসাগরের পতেঙ্গা, কাট্টলী, কুমিরাঘাট, সীতাকুন্ড, বাঁশখালীসহ উপকূলীয় এলাকায় পানিতে ডুবিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে সনাতন ধর্মের লোকজন। এছাড়াও কালুরঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীতেও বির্সজন দেয়া হয়েছে প্রতিমা। শিশু, নারী ও পুরুষরা দুর্গাসহ সব প্রতিমাকে ট্রাকে নিয়ে সমুদ্রের কাছে বিসর্জন দিয়েছে। তবে শত শত ট্রাক একযোগে পতেঙ্গা এলাকায় প্রবেশ করায় ট্রাফিক বিভাগকে হিমশিম খেতে হয়েছে প্রায় রাত ৮টা পর্যন্ত। প্রতিমা বিসর্জনের দিনে নগরীর বিভিন্ন পূজামন্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল ১০টা থেকে বিজয়া দশমীর আরাধনা শুরু হয়। ভক্তরাও সকাল থেকেই স্ব স্ব এলাকার পূজাম-পে গিয়ে শেষ মুহূর্তের আশীর্বাদটুকু নেয়ার চেষ্টা করেছে। সনাতন এ সম্প্রদায়ের হিসাব অনুযায়ী দেবীদূর্গা এসেছে নৌকায় চড়ে আর বিদায় নিয়েছে ঘোড়ায় চড়ে। সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি পূজাম-পে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, মেটাল ডিটেক্টর যন্ত্র, ফায়ার ফাইটিং যন্ত্র ও জেনারেটরের ব্যবস্থা রেখেছিল পূজা কমিটি। এছাড়াও নামাজের সময় ম-পে পূজাকেন্দ্রিক সাউন্ড সিস্টেম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়। পূজামন্ডপ বা আশপাশ এলাকায় মাদক, ছিনতাই এবং ইভ টিজিং প্রতিরোধে পুলিশী অভিযান অব্যাহত ছিল। শতভাগ পুলিশী নিরাপত্তা জোরদার, পুলিশী টহল বৃদ্ধি, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি এবং উর্ধতন কর্মকর্তা কর্তৃক মনিটরিং করায় প্রতিটি পূজামন্ডপে ছিল নিরাপত্তাবেষ্টনী। অভিযোগ রয়েছে, পূজাম-প ও এর আশপাশ এলাকায় এবং বিসর্জনস্থলে নিরাপত্তার স্বার্থে কোন প্রকার ব্যাগ, ব্যাগসদৃশ্য বস্তু, টিফিন বক্স, প্রেসার কুকার ও দাহ্য পদার্থ নিয়ে প্রবেশ এবং অবস্থান করা নিষিদ্ধ করা হলেও এক্ষেত্রে পুলিশের ভূমিকা ছিল ঢিলেঢালা। প্রতিমা বিসর্জনের সময় শনিবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত থানাভিত্তিক ১৫-২০টি পূজামন্ডপের প্রতিমা একত্রিত করে বিসর্জনের জন্য যেতে বলা হলেও মানেনি কেউই। বির্সজনের শোভাযাত্রায় অপরিচিত লোকের প্রবেশ ঠেকানোও সম্ভব হয়নি।
×