ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১ অক্টোবর ২০১৭

কলাপাড়ায় মাইকিং করে ইলিশ বিক্রি

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ৩০ সেপ্টেম্বর ॥ কলাপাড়ায় এবার মাইকিং করে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে। শনিবার শেষ বিকেল থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনের সামনে এভাবে ইলিশ মাছ বিক্রি করতে দেখা গেছে। পহেলা অক্টোবর রবিবার থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা, বিক্রি, পরিবহন ও মজুদ নিষিদ্ধ করায় শনিবার সাগর থেকে ফেরা ট্রলারের জেলেদের ইলিশ অপেক্ষাকৃত কম দামে স্থানীয় পাইকাররা কিনেছেন, যা এখন বিক্রি করছেন। নির্দিষ্ট মাছের বাজার ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনের সামনের রাস্তার ফুটপাথে এভাবে লাইন দিয়ে পাঁচ-ছয় বিক্রেতা ইলিশ বিক্রি করছেন। দামও অপেক্ষাকৃত কম। ৩-৪টিতে কেজি এমন ইলিশ ২৫০ টাকা। দুটিতে কেজি ৩০০ টাকা। এভাবে সাইজভেদে ৪০০, ৫০০ ও ৯০০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। এমনটি পরপর দুই বছর এই জনপদে দেখা গেল। স্থানীয় মৎস্য বিভাগের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামরুল ইসলামের দাবি, শুধুমাত্র কলাপাড়ার মহিপুর-আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্যবন্দর থেকে এ বছর অন্তত ২২ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ বিভিন্ন মোকামে চালান হয়েছে। এটি রেকর্ড পরিমাণ ইলিশ আহরণ। গণমাধ্যমকর্মীরা চার-পাঁচ বছর আগেও খুঁজে বেড়াতেন কারা ইলিশ খেয়েছেন। তাদের নিয়ে রিপোর্ট করতেন। কিন্তু এখন এ বছর ভিন্ন দৃশ্য। ইলিশ খায়নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল হয়ে গেছে। জেলে, আড়ত ও ট্রলার মালিকদের দাবি, মা ইলিশ রক্ষাকালীন নিষেধাজ্ঞা এবং জাটকা ইলিশ শিকারকালীন নিষেধাজ্ঞা যথাযথভাবে পালন করায় এভাবে ইলিশের ব্যাপক বিস্তার ঘটেছে। তবে শনিবার দুপুরে আলীপুরের মৎস্য আড়ত মালিক নেতা আনছার উদ্দিন মোল্লা এবং মহিপুরের মালিক নেতা নিমাই চন্দ্র দাস প্রকাশ্যে অভিযোগ করলেন, আমাদের মা ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতীয় ট্রলার মালিকরা বাংলাদেশের জলসীমায় প্রবেশ করে ডিমওয়ালা ইলিশ ধরে নেয়, যা রোধ করতে হবে। নইলে বাংলাদেশের জেলেরা বঞ্চিত হবে ইলিশপ্রাপ্তি থেকে।
×