ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টাওয়ার নদীতে ॥ ছয়দিনেও জানেন না বিদ্যুত কর্মকর্তারা

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১ অক্টোবর ২০১৭

টাওয়ার নদীতে ॥ ছয়দিনেও জানেন না বিদ্যুত কর্মকর্তারা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপরে উদাসীনতার কারণে ৩৩ হাজার ভোল্টের বিশাল বিদ্যুতের টাওয়ার নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ছয়দিন পরেও বিষয়টি জানেন না সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ফলে পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বে অবহেলা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি সন্ধ্যা নদীর তীরবর্তী জেলার বানারীপাড়া উপজেলার ব্রাহ্মণকাঠি এলাকার।স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিনবছর পূর্ব আগে ভাঙ্গনকবলিত এলাকার কয়েক লাখ টাকা মূল্যের ওই টাওয়ারটি নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বরিশাল পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২’র বানারীপাড়া সাব জোনাল অফিসে একাধিবার জানানো সত্তেও¡ তারা কোন পদপে গ্রহণ করেনি। স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম জানান, অসংখ্যবার টাওয়ারটি রার জন্য বিদ্যুত অফিসে গিয়ে অনুরোধ ও আবেদন নিবেদন করা হলেও সংশ্লিষ্টরা এ বিষয়ে কোন কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। অবশেষে ছয়দিন আগে গত সোমবার পুরো টাওয়ারটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বানারীপাড়া সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ঘরামী জানান, বানারীপাড়া ও বরিশাল পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২’র কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়ে একাধিকবার ফোন করার পাশাপাশি লিখিত আবেদন করা হলেও টাওয়ারটি রায় কোন পদপে গ্রহণ করা হয়নি। এ বিষয়ে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান বলেন, টাওয়ারের মালামাল রায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পল্লী বিদ্যুত সমিতির বানারীপাড়া সাব জোনাল অফিসের এজিএম নারায়ণ চন্দ্র নন্দীকে নির্দেশ দেয়া হলেও তিনি শুধু কর্মচারীদের দিয়ে তার খুলিয়ে নিয়েছেন। মূল্যবান টাওয়ারের অন্যসব মালামাল খোলার বিষয়ে তিনি কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় গত সোমবার দুপুরে পুরো টাওয়ারটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বানারীপাড়া পল্লী বিদ্যুত অফিসের এজিএম নারায়ণ চন্দ্র নন্দীর সঙ্গে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার গাজী সোহরাব হোসেনের ওপর পুরো দায়িত্ব চাপিয়ে দিয়ে বলেন, আমি অবসরে আসার পর পুরো দায়িত্ব তার (ইঞ্জিনিয়ার) ওপর রয়েছে। টাওয়ারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওটা ঠিকাদার ভেঙ্গে দেবেন। তার ওয়ার্ক অর্ডারে টাইম আছে। বর্তমানে দায়িত্ব থাকা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার গাজী সোহরাব হোসেনের কাছে গত ছয়দিন আগে নদীগর্ভে পুরো টাওয়ারটি বিলীনের কথা বললে তিনি বিষয়টি জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
×