ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্কুল মাঠে মাছ চাষ ॥ খেলাধুলা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১ অক্টোবর ২০১৭

স্কুল মাঠে মাছ চাষ ॥ খেলাধুলা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নগরীসংলগ্ন পপুলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে কৌশলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি করে মাছ চাষ করে আটশ’ শিার্থীর খেলাধুলা, শরীরচর্চা ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত করছেন প্রধান শিক। বিদ্যালগুলোতে কাস শুরুর পূর্বে শারীরিক শিা (পিটি) করানো বাধ্যতামূলক থাকলেও এ বিদ্যালয়টিতে সবকিছু থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিকের খামখেয়ালিপনায় তা সম্ভব হচ্ছেনা। বিদ্যালয়ের সামনে প্রায় দেড় একরের বিশাল মাঠ থাকলেও সেখানে খেলাধুলার পরিবর্তে মাছ চাষ করা হয়। প্রধান শিক নিয়ম করে সকাল বিকেল ওই মাছের খাবার নিজেই দিয়ে থাকেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, শত শত শিার্থীর স্কুল সময়ে মুক্ত আবহাওয়া প্রাপ্তি, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, ক্রীড়া-বিনোদনের জন্য বিশাল মাঠ থাকলেও তা পানিতে ভরপুর। মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য সুব্যবস্থা থাকলেও তাতে বাঁধ দিয়ে জলাবদ্ধতা তৈরি করা হয়েছে। মাঠের মধ্যে হাঁটু সমান পানিতে মাছ চাষ করা হচ্ছে। পুরো মাঠটি এখন পানিতে টইটম্বুর। মাঠের দুইদিকে দুইটি পুকুর। স্কুল মাঠের মাছ যাতে করে বেরিয়ে যেতে না পারে সেজন্য বাঁধ এবং বাঁধের ওপর দিয়ে নেটের জাল স্থাপন করা হয়েছে। মাছের খাদ্য ব্যবহার করে পানি নষ্ট ও পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। মাঝে মধ্যে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের অনুষ্ঠান দায়সারাভাবে বিদ্যালয়ের বারান্দাতে কোনরকম সেরে নেয়া হচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, দুই-চারদিন বৃষ্টি না থাকলে মাছ চাষ অব্যাহত রাখতে পার্শ্ববর্তী পুকুর ও খাল থেকে সেচের মাধ্যমে স্কুল মাঠে পানি উত্তোলন করা হয়। বিদ্যালয়ের একাধিক শিার্থী জানায়, তারা বিগত দিনে মাঠে খেলাধুলা করলেও এবার আর তা পারছেন না। জেলা শিা অফিসের সহকারী শিা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, বিদ্যালয় মাঠে মাছ চাষের বিষয়টি তার জানা নেই। প্রধান শিক ফরিদ উদ্দিন জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী পুকুর থেকে দেশীয় কৈ মাছ বিদ্যালয়ের মাঠে ওঠে আসে। এরপর ওই মাছে ডিম ছাড়লে তা রণাবেণ করা হচ্ছে। তিনি নিজেই এ কাজটি করছেন। বিদ্যালয় এডহক কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান দুলাল জানান, গত দুই মাস আগে এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি বলেন, মাঠটিতে হাজার হাজার কৈ মাছের পোনা বড় হচ্ছে। বিদ্যালয় কমিটি এগুলো খাবারের জন্য রাখেনি বরং মাছগুলো বড় হলে বিক্রি করে সেই টাকা বিদ্যালয়ের কাজেই খরচ করা হবে।
×