ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গাছের ডালপালা ফেলে মাছের আবাসস্থল

টাঙ্গন নদীতে দূষিত হচ্ছে পানি ॥নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

টাঙ্গন নদীতে দূষিত হচ্ছে পানি ॥নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ২৯ সেপ্টেম্বর ॥ মাছ ধরার জন্য এক শ্রেণীর মানুষ ঠাকুরগাঁও শহরসংলগ্ন টাঙ্গন নদীর বিশাল এলাকাজুড়ে গাছের ডালপালা, ঝাড়-জঙ্গল ও বাঁশঝাড় ফেলে মাছের আবাসস্থল গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন। তারা ফায়দা লুটলেও এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ভয়াবহভাবে। এসব ঝাড়-জঙ্গলে ময়লা-আবর্জনা, পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল, খড়কুটোসহ নানা বর্জ্য আটকে গিয়ে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ এবং পানি দূষিত হচ্ছে ও আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। তাছাড়া শহরের সৌন্দর্যবর্ধক এই টাঙ্গন নদী হারাচ্ছে তার সৌন্দর্য। সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া টাঙ্গন নদীর নিশ্চিন্তপুর, শাহাপাড়া, মুন্সিপাড়া এলাকায় কিছু লোক নদীর এপার-ওপারের প্রায় সম্পূর্ণ অংশের পানিতে যে যার ইচ্ছে ও সুবিধা অনুযায়ী বাঁশের ঝাড় ফেলে মাছের আবাসস্থল বানিয়ে রেখেছে। শুধু তাই নয়, তারা ওইসব ঝাড়ের নিচে মাছের টোপ হিসেবে গরু-ছাগলের ভুঁড়ি-মুরগির লিটারসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি ফেলে রাখছেন। এতে এলাকায় প্রচ- দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে ফলে আশপাশে বাস করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে। তারা মাছ শিকার করলেও নদী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। একদিকে নদীতে ময়লা-আবর্জনা আটকে নদীর পানি প্রবাহ প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ছে অন্যদিকে এগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অবৈধভাবে নদীতে ঝাড় জঙ্গল ফেলে তারা নদীর এই অংশটিকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করছে। এখানে বা আশপাশে এলাকার আর কাউকে জাল ফেলতে বা বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করতে দিচ্ছে না। ফলে ঝাড়ের লোকজন ও মাছ শিকারিদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ঘটছে অপ্রীতিকর ঘটনা। শাহাপাড়া এলাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে সবচেয়ে বেশি। নদীতে এ ধরনের অপতৎপরতা বন্ধ করতে কয়েকদিন আগে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের কাছে গণপিটিশন দিয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, তারা কোন প্রতিকার পাননি। তারা জানান, এলাকার কতিপয় ব্যক্তি দাপট খাটিয়ে একের পর এক নদীতে ঝাড়-জঙ্গল ফেলে বিশাল এলাকাজুড়ে নদী ও এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছেন। এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকারী নির্দেশনা ছাড়া কোন নদীতে ঝাড় ফেলে মাছের আবাস তৈরি করা এবং এসব আশ্রমে মাছের টোপ হিসেবে অখাদ্য-কুখাদ্য ও বর্জ্য ফেলা সম্পূর্ণ নিষেধ রয়েছে।
×