ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা ॥ আওয়ামী লীগ নেতা ভাইসহ গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা ॥ আওয়ামী লীগ নেতা ভাইসহ গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা স্বামী ও দেবরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাকিমপুর উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে ২ সন্তানের জননী গৃহবধূ শাহানাজ বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের মেয়ে শাহানাজ হাকিমপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সস্পাদক খোরশেদ আলমের স্ত্রী। নিহত শাহানাজের বাবার পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে পারিবারিকভাবে খোরশেদ ও শাহানাজের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি হয়। তিন দিন আগেও খোরশেদ স্ত্রী শাহানাজকে কোন কারণ ছাড়াই মারধর করলে শাহানাজ বাবার বাড়িতে চলে যান। খোরশেদ খবর ছড়ায় তার স্ত্রী বাড়ি থেকে তিন লাখ টাকা নিয়ে চলে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে খোরশেদ শ্বশুরবাড়ি থেকে স্ত্রী শাহানাজকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে বেদম মারধর করেন। শাহানাজের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘরের দরজা ভেঙ্গে সন্ধ্যা ৭টায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে রাত ৮টায় জয়পুরহাট আধুনিক হাসপাতালে যাওয়ার পথে শাহানাজের মৃত্যু হয়। তার চাচাত ভাই লিটন জানান, শাহানাজকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার বিচার চেয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হাকিমপুর থানায় গেলে ওসি আবদুস সবুর ঘটনার ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে মিছিলকারীরা থানা চত্বর ত্যাগ করে। হাকিমপুর থানার ওসি আবদুস সবুর জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শাহানাজের স্বামী খোরশেদ ও তার দেবর মুক্তারকে গ্রেফতার করেছে। নওগাঁয় বৃদ্ধ নিজস্ব সংবাদদাতা নওগাঁ থেকে জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে আত্রাই উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের গুরনই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠসংলগ্ন আত্রাই নদীর খেয়াঘাট থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৬৫) ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ জনায়, লাশটির মুখম-লে দাড়ি, পরনে লুঙ্গি ও গায়ে গেঞ্জি ছিল। দড়ি দিয়ে লাশের হাত-পা বাঁধা ছিল। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য শুক্রবার নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ নাসিরের লাশ উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ লৌহজংয়ের পদ্মার শাখা নদীতে সাঁতার কাটতে গিয়ে নিখোঁজ মোঃ নাসিরের লাশ উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার সকালে ১৫-১৬ কি.মিটার ভাটিতে টঙ্গীবাড়ি উপজেলার হাসাইল ইউনিয়নের পদ্মা নদীর চরের পার হতে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। গত তিন দিন ধরে খোঁজাখুঁজিকালে শুক্রবার সকালে টঙ্গীবাড়ির পদ্মা নদীতে নাসিরের বাবা সাহেদ আলী স্বজনদের নিয়ে যখন নাসিরের সন্ধান করছিল, তখন একদল জেলেকে দেখে তারা জিজ্ঞেস করে পদ্মায় কোন লাশ ভাসতে দেখেছে কিনা। জেলেরা জানান, হাসাইলের পদ্মার চরের পারে একটি লাশ পড়ে আছে। পরে নাসিরের বাবা মোঃ সাহেদ আলী মিস্ত্রি সেখানে গিয়ে নাসিরের লাশ শনাক্ত করে। উল্লেখ্য, গত বুধবার নাসির ও তার অপর দুই বন্ধু লৌহজংয়ের পদ্মার শাখা নদীতে গোসল করতে গেলে মোঃ নাসির নিখোঁজ হয়। এ সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে অপর দুই বন্ধু মোঃ অনিক (১৮) ও মোঃ শাহীন (১৭)। নিহত নাসির উপজেলার পাইকারা গ্রামের মোঃ সাহেদ আলী মিস্ত্রির ছেলে। শিশুর লাশ মিলল জেলের জালে স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বড়াল নদে গোসল করতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে যাওয়া শিশু সৈকতের (৮) লাশ মিলল একদিন পর জেলেদের জালে। শুক্রবার সকালে জেলেদের জালে উঠে এলো সৈকতের মরদেহ। পরে পরিবারের সদস্যরা তার লাশ শনাক্ত করে। বৃহস্পতিবার রাজশাহীর চারঘাটে বড়াল নদে গোসল করতে নেমে ডুবে যায় শিশু সৈকত। সৈকত রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ভায়ালক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের মাইনুল ইসলামের ছেলে। সে সরদহ সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র ছিল। তার বাবা মাইনুল ইসলাম পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এসআই) হিসেবে রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় কর্মরত। নিহতের বাবা মাইনুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাড়ির পাশে বড়াল নদে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সৈকত। এ সময় প্রতিবেশীদের সংবাদের ভিত্তিতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সেখানে পৌঁছে বিকেল ৩টা থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সৈকতের কোন হদিস পাওয়া যায়নি। তবে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে স্থানীয় জেলেদের জালে আটকে যায় শিশু সৈকতের লাশ।
×