ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুহম্মদ শফিকুর রহমান

মানবতার জননী

প্রকাশিত: ০৪:২৪, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মানবতার জননী

যিনি মানুষকে দেখেন মায়ের মমতায়, নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ান স্নেহ-ভালবাসার পরশ ছড়িয়ে, কে বাঙালী, কে অবাঙালী, কে রোহিঙ্গা, কে মুসলিম, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে পাহাড়ী, কে সমতলবাসী, কে কাছের, কে দূরের কোন আপন-পর নয়, সবাই তাঁর কাছে মানুষ। সারাটি জীবন যিনি স্রোতের বিপরীতে হেঁটে হেঁটে আজ বিশ্বমায়ের আসনে অধিষ্ঠিত। আমরা বাঙালীরা যাকে নিয়ে অহঙ্কার করি, বিশ্ব যার দিকে তাকিয়ে আছে, তিনি আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বঙ্গকন্যা থেকে বঙ্গজননী সবার মা। ধরিত্রীর আদরের কন্যা থেকে মানবতার জননী- মাদার অব হিউম্যানিটি। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী (আততায়ীর গুলিতে নিহত) বেনজীর ভুট্টোকে বলা হয় ‘ডটার অব দ্য ইস্ট’, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী (আততায়ীর গুলিতে নিহত) শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীকে বলা হয় ‘মাদার অব ইন্ডিয়া’। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ বলা হচ্ছে ধরিত্রী মা। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা- আগের ৫ লাখের ওপর গত ২৫ আগস্ট থেকে আরও ৫ লাখ (এ পর্যন্ত) রোহিঙ্গার স্রোতকে ¯েœহ-মমতায় গ্রহণ করে শেখ হাসিনা আজ কেবল বাংলাদেশ বা এ অঞ্চলেরই নয়, গোটা বিশ্বের নজর কেড়েছেন। দেশহীন, রাষ্ট্রহীন একটি জনগোষ্ঠীকে ‘সবার উপরে মানুষ সত্য, তাহার উপরে নাই’ নীতিতে গ্রহণ করছেন, আশ্রয় সেবা দিচ্ছেন। বাংলাদেশ কেবল একটি দারিদ্র্যপীড়িত জনপদ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে, মাত্র ক’দিন আগে পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমিধসে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি, অতিবর্ষণজনিত বন্যায় ৩০ লক্ষাধিক টন খাদ্যশস্য বানের পানিতে ভেসে পচে গেছে। আগে থেকেই (১৯৭৮ সাল থেকে) যেখানে ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা এবং গত ৪৭ বছর ধরে কয়েক লাখ আটকেপড়া পাকিস্তানীর বোঝা টানতে হচ্ছে, এমনি প্রেক্ষাপটে নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্রোতকে বাধা না দিয়ে বাংলাদেশের ভূমিতে ঢুকতে দেয়া, এসব প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওরাও মানুষ- দে আর অলসো হিউম্যান বিইং।’ ‘আমরা ১৬ কোটি মানুষ যখন খেয়ে-পরে বেঁচে থাকছি, তখন ১০ লাখ রোহিঙ্গাকেও (অসহায়) খাওয়াতে পারব।’ ‘প্রয়োজনে খাবার ভাগ করে খাব, তবু মানবতার অবমাননা হতে দেব না।’ একজন মনীষী বলেছেন, ‘মানবতাবাদী হতে হলে ধনী দেশ হওয়ার প্রয়োজন নেই।’ শেখ হাসিনা আজ তাই প্রমাণ করলেন। বঙ্গবন্ধুর অপর কন্যা সহোদরা শেখ রেহানাকে নিয়ে রোহিঙ্গা শরণার্থী স্রোত শুরু হওয়ার শুরুতেই ছুটে যান কক্সবাজার, উখিয়া, কুতুপালং প্রভৃতি শরণার্থী শিবিরে এবং তাদের মধ্যে আহত, অনাহারে-অর্ধাহারে কাতর মানুষগুলোকে দেখে, যাদের বেশিরভাগই শিশু ও নারী অঝোরে কাঁদলেন, কাঁদালেন, অশীতিপর বৃদ্ধাকে বুকে টেনে নিলেন। তার কাছে ভূমধ্যসাগর তীরের ৪ বছরের শিশু আইলানের নিথর পড়ে থাকা দেহ আর কোনরকমে রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা ২ মাসের মৃত শিশু সন্তানের প্রতি মায়ের আদর, কোন পার্থক্য নেই। কিন্তু পরক্ষণেই এক সাহসী দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাষ্ট্রনেতার মতো বললেন ‘ঘড়, গুধহসধৎ যধং ঃড় ংঃড়ঢ় ংঁপয পৎঁবষ মবহড়পরফব, ওঃ যধং ঃড় ঃধশব নধপশ ঃযবরৎ ড়হি পরঃরুবহ ড়হি ঢ়বড়ঢ়ষব’ তারপরই তিনি বিশ্ববিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখলেন একবিংশ শতাব্দীর এ পর্যায়ে এসেও মানবতার এই বিপর্যয় ক্যানো? ছুটে গেলেন বিশ্বসভা জাতিসংঘে। জাতিসংঘসহ বিশ্বের তাবত বড়-ছোট দেশ-জাতি-সমাজ তাঁর পাশে এসে দাঁড়াল, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। ’৭৫-এ জাতির পিতা হত্যার পর এই প্রথম বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতির পাশে এসে বিশ্বমানবতা এক হলোÑ মানুষের চেয়ে মহীয়ান কিছুই নেই। শেখ হাসিনা এক দূরদর্শী রাষ্ট্রনেতার অবস্থান থেকে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর নোবেল লরেট আউং সান সুচির বিরুদ্ধে একটি কথাও বলেননি। অর্বাচীন এবং মতলববাজ রাজনৈতিক নেতাদের শত উস্কানির মুখেও নিজের নীতি-আদর্শের প্রতি অটল থেকেছেন। কারণ তিনি ভাল জানেন মিয়ানমারে যে গণতন্ত্র আছে তা মিলিটারিতন্ত্রের আরেক রূপ। ১৬/১৭ বছর অন্তরীণ থেকে লড়াই করতে করতে মিয়ানমারের যেটুকু গণতন্ত্র এসেছে তা সুচিরই অবদান। তবে এখনও মিয়ানমারে ৪ শতাধিক আসনের পার্লামেন্টের এক-চতুর্থাংশ অর্থাৎ ১২০ জন মিলিটারি জেনারেল উর্দি পরে পার্লামেন্টে বসেন, কার্যপ্রণালীতে অংশ নেন, প্রস্তাব আনেন প্রস্তাব পাস করান, আইন আনেন আইন পাস করেন। এ অবস্থায় আউং সান সুচির সঙ্গে বসেই শেখ হাসিনাকে সঙ্কটের সমাধান করতে হবে। মিলিটারির সঙ্গে বসে তো সঙ্কটের সমাধান হবে না। যেমন আইয়ুব, জিয়া, এরশাদের মিলিটারি কিংবা খালেদার মতো উর্দিহীন মিলিটারি সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে মিলিটারি ক্যাম্প বসিয়ে, স্যাটেলর ঢুকিয়ে সঙ্কটের সমাধান করতে পারেননি। তারা চেয়েছিলেন মিলিটারিলি সমাধান করতে। কিন্তু শেখ হাসিনা জানতেন সেটি একটি পলিটিক্যাল প্রবলেম এবং পলিটিক্যালি সমাধান করতে হবে। তাই সন্তু লারমার সঙ্গে টেবিলে বসে শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে দীর্ঘদিনের পার্বত্য জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র বিদ্রোহের সমাধান করলেন। ১৯৯৭ সালের ৩ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির এক স্কুল মাঠে সশস্ত্র বিদ্রোহীরা শেখ হাসিনার কাছে অস্ত্র সমর্পণ করলেন, ভারতের পূর্বাঞ্চলে শরণার্থী হওয়া প্রায় ৪০ হাজার পাহাড়ী বিশেষ করে চাকমা-মারমাকে দেশে ফিরিয়ে এনে স্বাভাবিক জীবনে পুনর্প্রতিষ্ঠিত করলেন। এখানেই শেখ হাসিনার সঙ্গে অন্য নেতা-নেত্রীর পার্থক্য। তাঁর শান্তিতে নোবেল পাওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট ছিল। ২৮ সেপ্টেম্বর ছিল মানবতার মা শেখ হাসিনার ৭০তম জন্মদিন, অর্থাৎ তিনি ৭১-এ পা রাখলেন। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ধানম-ির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরের বাসভবনে বাঙালী পথভ্রষ্ট মিলিটারিরা মুশতাক-জিয়ার ষড়যন্ত্রে ও নেতৃত্বে যে গণহত্যা চালায় তাতে মা-বাবা-ভাই সবাইকে হারাবার পর থেকে তিনি কখনও ঘটা করে তাঁর জন্মদিন উদযাপন করতে দেননি। কেক কেটে আনন্দ করা ছিল মানা। কিন্তু দল সভা-সমাবেশ-আলোচনার মাধ্যমে তা উদযাপন করত। এবার জাতিসংঘ থেকে এসবও নিষেধ করে দেন। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর সতীর্থ হিসেবে আমি এবং নূহ-উল আলম লেনিন আলোচনা করে ঐদিন দলের বাইরে জাতীয় প্রেসক্লাবে হল ভাড়া করে একটি সেমিনারের আয়োজন করলাম। মূলত এটি সাংবাদিকদের জন্য করা হয় এবং আহ্বায়ক হিসেবে আমি আয়োজন করি। এটি ছিল একটি ব্যতিক্রমধর্মী সেমিনার এবং এতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন শেখ পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্য শেখ কবির হোসেন এবং মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি, সাংবাদিক ও গবেষক জাফর ওয়াজেদ। দৈনিক ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাহী সদস্য মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন লেখক, গবেষক ও আওয়ামী লীগ নেতা নূহ-উল আলম লেনিন, দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক কমান্ডের চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন আহমেদ পেয়ারা, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও বিএফইউজে সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, সাংবাদিক-কলামিস্ট ও দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, জাতীয় প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জাতীয় প্রেসক্লাব নির্বাহী সদস্য ও ডিইউজের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আফ্রাদ। উপস্থিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ভিসি প্রফেসর ডাঃ কামরুল হাসান খান, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাইফুল আলম, প্রেসক্লাব নির্বাহী সদস্য ও সাবেক ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক মোল্লা জালাল, প্রেসক্লাব নির্বাহী সদস্য ও চ্যানেল আই-এর কল্যাণ সাহা, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আতিয়ার রহমান আতিক, রায়হান ফেরদৌস মধু, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু, মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম ও সাংবাদিক শাহনাজ সিদ্দিকী সোমা, সাংবাদিক নেতা জহুরুল ইসলাম টুকু, শহীদুল হক, খোকন, আরজু প্রমুখ। জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জ ওয়ানের কানায় কানায় ভর্তি পেশাদার সাংবাদিকদের এই সেমিনারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার থেকে প্রধান অতিথি শেখ কবির হোসেন প্রধানমন্ত্রীর শৈশব-কৈশোর জীবনের প্রতি আলোকপাত করে বলেন, আমরা ওকে হাসু বলে ডাকতাম এবং ও ছিল সবার আদরের। বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতার তো বটেই। ওই বয়সেই ও বাড়ির সবার নেতৃত্ব দিতে শুরু করেন। আজ আমাদের হাসু বাঙালী, বাংলাদেশ তথা বিশ্বমানবতার দূরদর্শী নেতা। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। মূল প্রবন্ধে জাফর ওয়াজেদ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতায় এমন বিপুলসংখ্যক শরণার্থী বছরের পর বছর পোষা দুরূহ। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের অবস্থা খুবই শোচনীয়। এমন করুণ অবস্থা বিদ্যমান থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা আর্তমানবতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। জাফর তার বন্ধু কবি আসাদ মান্নানের কবিতার লাইন আবৃত্তি করেন “বাঙালির গর্ব যিনি দেশরত্ন মানবী শেখ হাসিনা/ মানব মুক্তির যুদ্ধে তিনি ছাড়া আমরা বাঁচি না.../”। অন্যান্য আলোচক শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ভাষণ উল্লেখ করে বলেন, শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধান তথা আর্তমানবতার মুক্তির যে পথ দেখিয়েছেন তা জাতিসংঘের দুই শতাধিক সদস্য দেশ গ্রহণ করেছে। শেখ হাসিনাকে মানবতাবাদী রাষ্ট্রনেতা ও মা বলে সম্বোধন করেছে। শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কূটনৈতিক ভূমিকার ফলে মিলিটারি জান্তা অধ্যুষিত মিয়ানমারও বাংলাদেশের সাথে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে। এমনকি মিয়ানমারের সাথে বিজনেস ইন্টারেস্ট থাকার পরও চীন-রাশিয়ার বরফ গলতে শুরু করেছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কটের সমাধানও হবে এ পথেই। যদিও ঝুঁকি রয়েছে অনেক। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে ঢুকছে ইয়াবার মতো মারণাস্ত্র মাদকদ্রব্য, এইড-এর শঙ্কাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। কারণ এবারের ৫ লক্ষাধিক শরণার্থীর মধ্যে ৮০ হাজারের মতো রোহিঙ্গা রমণী অন্তঃসত্ত্বা। ঝুঁকি রয়েছে পাকিস্তানী মিলিটারির সন্ত্রাসবাদী সংস্থা আইএসআই, সৌদি আরব, কুয়েত প্রভৃতি তথাকথিত মুসলিম দেশ এবং তাদের এদেশীয় দালাল গর্তে ঢোকা জামায়াত, হিযবুল মুজাহিদীন প্রভৃতির সেবার নামে (যা তারা ১৯৭৮ সাল থেকে করে আসছে) জঙ্গী বানানোর চক্রান্ত। কিন্তু শেখ হাসিনা সাহসী-দূরদর্শী রাষ্ট্রনেতা, ঝুঁকি নিতে ভয় পান না, ভয় বলে কিছুই তাঁর মধ্যে নেই। জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাষণদান ও অন্যান্য কর্মসূচী শেষে তিনি আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, পুত্রবধূ ক্রিস্টিন ওয়াজেদ ও নাতনিদের বাসায় অবস্থান করছেন। তার গলব্লাডার স্টোনের সফল অপারেশন হয়েছে এবং তিনি সুস্থ আছেন, দ্রুত সেরে উঠছেন বলে জয় জানিয়েছেন। শীঘ্রই তিনি দেশে ফিরবেন। সেমিনারে তাঁর আশু সুস্থতা কামনা করা হয়। দুই বছর আগে ২০১৫ সালে জনকণ্ঠের এই চতুরঙ্গ পাতায় লিখেছিলাম “(শিরোনাম) বাংলাদেশ আরো দুই টার্ম শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় দেখতে চায়”। তারই পুনরাবৃত্তি করে বলছিÑ আরও দুই টার্ম বাঙালি তথা মানবতাবাদী বিশ্বের জন্য জরুরী। নোবেল শান্তি পুরস্কারের চেয়েও তাঁর নেতৃত্ব বেশি জরুরী। ঢাকা ॥ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সভাপতি জাতীয় প্রেসক্লাব [email protected]
×