ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গোঁফওয়ালা উমেদ আলী

প্রকাশিত: ০৪:২০, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

গোঁফওয়ালা উমেদ আলী

জগৎ সংসারের জীবনে মানুষের সাধ বা শখের কোন অন্ত নেই। স্বাবলম্বী জীবন গড়া থেকে শুরু করে বিত্ত- বৈভবের মালিক হওয়ার পাশাপাশি ক্ষমতাধর চেয়ারে বসার আকাক্সক্ষা যেমন কাজ করে মানুষের প্রবহমান জীবনে, ঠিক তেমনি উচ্চাকাক্সক্ষা না হলেও নিজের চলন-বলন, ধরন আর অবয়বকেই ভিন্নভাবে তুলে ধরতে নিরন্তর চেষ্টা করে থাকেন কোন কোন মানুষ। ঠিক এমনই এক মানুষ উমেদ আলী (৫৫) যিনি জীবনে কোন উচ্চাকাঙ্খা লালন না করলেও দীর্ঘ ২৬ বছর ধরে ব্যতিক্রমী গোঁফ রেখে যতœ করে যাচ্ছেন নিরন্তর। সেই সঙ্গে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন ‘গোঁফওয়ালা উমেদ’ নামে। তার বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের কুঠুরাকান্দা গ্রামে। তিনি স্থানীয় মৃত হাসেন আলী ম-লের ছেলে এবং ২ মেয়ে ও ১ ছেলে সন্তানের জনক। সংসারেও রয়েছে হালিমা খাতুন ও ছাহেরা খাতুন নামে ২ স্ত্রী। পেশায় কৃষক হলেও উমেদ আলী ছোট থেকেই চাকচিক্য পছন্দ করতেন। পরিচ্ছন্ন কাপড়-চোপড় পরিধান, বিশেষ করে ঐতিহ্যের নায়েব আলী লুঙ্গি ও বিশেষ ধরনের পাঞ্জাবি তার পছন্দেরই পরিধেয়। মাথার চুল আঁচড়ে সিঁথি রাখা থেকে শুরু করে মাথা-মুখসহ শরীরে সরিষার তেল ব্যবহারেও অভ্যস্ত তিনি। এরপরও শখের বশে রাখা তার ব্যতিক্রমী গোফ অনেকের মাঝেই কৌতূহলের সৃষ্টি করে। আর কৌতূহলবশতই প্রতিদিনই তাকে জিজ্ঞাসিত হতে হয় ওই গোঁফ নিয়ে। কারণ একসময় বড় ধরনের গোঁফ রাখার রেওয়াজ দেখা গেলেও এখন আর তা দেখা যায় না বললেই চলে। এ বিষয়ে কথা হলে উমেদ আলী জানান, গোফের যতœ নিতে জেল, কালার, কলব দিতে প্রতি সপ্তাহে তার খরচ হয় সাড়ে ৪শ’ টাকা। কেবল আওয়ামী লীগ কর্মী হওয়ার কারণে এলাকার সংসদ সদস্য, হুইপ আতিউর রহমান আতিকের মাধ্যমে ইতোপূর্বে ৪ হাজার টাকার ভাতা পেলেও আর কারও কাছ থেকেই তাকে উৎসাহব্যঞ্জক ভাতা দেয়া হয়নি। তার মতে, ওই গোঁফ রাখার মধ্য দিয়ে তিনি এক সময়ের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যকেই লালন করছেন। এজন্য কারও কারও উৎসাহ পেলে তিনি নিজের গোফকে আরও ব্যতিক্রম করে তুলে ধরতে পারবেন। রফিকুল ইসলাম আধার শেরপুর থেকে
×