ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুয়ের্তোরিকোর ত্রাণের জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রের

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

পুয়ের্তোরিকোর ত্রাণের জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার যুক্তরাষ্ট্রের

ঘুর্ণিঝড় মারিয়ায় বিধ্বস্ত পুয়ের্তোরিকোয় জ্বালানী ও রসদ সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে দ্বীপটিতে জাহাজ চলাচলে বিধি-নিষেধ তুলে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। বিবিসি। টুইটারে এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা¤প পুয়ের্তোরিকোর ওপর আরোপিত জোন্স এ্যাক্ট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২০ সেপ্টেম্বর হারিকেন মারিয়া যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ক্যারিবীয় দ্বীপ পুয়ের্তোরিকোয় আঘাত হানে। চার মাত্রার ঘুর্ণিঝড় মারিয়ার তান্ডবে পুয়ের্তোরিকো ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে, ঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতে দ্বীপটি বন্যাও হয়। যে কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা জ্বালানী, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের মারাত্মক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। ঝড়ে ১৬ জনের মৃত্যু হলেও দ্বীপে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। পুরো বিদ্যুত ব্যবস্থা অকার্যকর হয়ে পড়ায় দ্বীপটির প্রায় ৩৪ লাখ বাসিন্দা এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে অন্ধকারে আছে, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। মৌলিক চাহিদা পূরণেই লড়াই করতে হচ্ছে দ্বীপবাসীদের। জ্বালানীর অভাবে গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। বিবিসি জানায়, পুয়ের্তোরিকোর প্রধান বন্দর সান জুয়ানে বৃহ¯পতিবার সকাল পর্যন্ত রসদ বোঝাই প্রায় ১০ হাজার কন্টেইনার পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ট্রাকের অভাবে সেগুলো সরানো যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাহাজে করে যাওয়া জ্বালানী দিয়েই পুয়ের্তোরিকোর চাহিদা পূরণ করা হয়। ঘুর্ণিঝড়ের পর থেকেই সেখানে পেট্রোল রেশনিং চলছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, আমরা আরও সাহায্যের দাবিদার। আমরাও যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সম্ভবত আমাদের সঙ্গে সমান ব্যবহার করা উচিত যে আইনের কারণে এই দুর্যোগেও এমন জটিলতা তার মূলে আছে জোন্স এ্যাক্ট যা ‘মার্চেন্ট মেরিন এ্যাক্ট ১৯২০’ নামেও পরিচিত। ওই এ্যাক্ট অনুযায়ী, অন্য কোন দেশ থেকে পুয়ের্তোরিকোতে পণ্য পাঠাতে হলে অবশ্যই সেটা যুক্তরাষ্ট্রের বন্দর থেকে এবং যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি, মালিকানাধীন ও পরিচালিত জাহাজে করে পাঠাতে হবে। যে কারণে, যুক্তরাষ্ট্রের মূলভূখ-ের তুলনায় পুয়ের্তোরিকোতে পণ্যের দাম বেশি।
×