প্রতিবারের মতো এই যে ঈদের লম্বা বন্ধে আমি রাজশাহী, পরিচিত কত মুখ, আবার কিছু নতুন
পুরনো মন্দির, ইংলিশ মিডিয়াম, ফাস্টফুডের হরেক দোকান, সেলুন, কাঁচাবাজার, কানাগলি
সাহেব বাজারের ভিড়, শরতের মেঘ, কাঁচা মাটির ভেজা প্রতিমা, শৈশবের একদল প্রাণ
চায়ের টঙে দাঁত ভাঙা বুড়োদের গপ্প, ভেজা শরীরের সিনেমার পোস্টার, বাড়ি ফেরা পাখির বিকেল
ছাদের এলোবেরা, কার্নিশের শেওলা জল, বাতাসের সুরে অশ্বত্থ পাতার নৃত্য, দূরের মিনার...
বুয়ার না আসা লম্বা ছুটিতে কে ঘুম ভাঙায় তোমায়, নাকি গ্লাস হাতে ঘুমিয়ে পড়ো ফজরের সকাল
পশ্চিমের জানালা বন্ধ থাকে কয়েকদিন, নাকি হঠাৎ দেখো রোদ না জ্যোৎস্না
মধ্যরাতে এখনো কি আলামিন নিয়ে যায় ধলেশ্বরীর কাছে, শেষ রাতে হাতির ঝিলে ছায়া হয়ে যাও-
কী যেন নাম মেয়েটার... অনিন্দিতার গা ঘেঁষে।
শূটিং ফ্লোরে নায়িকার শরীরে লিখতে চাও কি কবিতা, ভুলে যাও পরিচালকের বাহাদুরি ইমেজ
গালে হাত রেখে বলো তোমার ঘাস ঠোঁটে চুমো আঁকতে চাই দৃশ্যের পর দৃশ্য।
মানিব্যাগহীন গ্রীষ্মের সকালে ভিড়ের ফুটপাথে হেঁটে অফিস কর এখনো
সোয়ারিঘাটে লঞ্চের হুইসেল, পায়ের আওয়াজ, পাগলির জটাচুল
তামাকের পোড়া গন্ধ, হেডলাইটে বেশ্যার লজ্জা, ফ্লাইওভারের নিচে সস্তা জুয়ার আসর
পাঁচতারা হোটেলের বাজারি গান, হসপিটালের নীরবতা, ফুটপাথের ক্লান্ত ঘুম
শব্দের পিঠে শব্দ এঁকে এসব লেখো কবিতায়। নাকি নারীদের মতো বদলাও কবিতার গল্প।
ঢাকার পুরনো রাস্তায় মনে পড়ে আমায় কিংবা কৃষ্ণচূড়ার ল্যামপোস্টের নিচে, রিক্সার প্যাডেলে
ঘুমের বিছানায় কে দেয় বিলি কেটে, কে খোঁজ রাখে শার্টের কলারের, ফ্রিজের তরকারি
কার সঙ্গে সিনেমা দেখো, শীতের সবুজ চা বেলকনিতে কে রেখে দেয়, হাইওয়ের লুকিং গ্লাসে কার পোট্রেট আঁকো
বুকসেলফে ধুলোয় জমে থাকা বই রোদের ছাদে মেলে দেয় কে
বিলেতে যাওয়ার ব্যাগ কে গুছিয়ে দেয়, ওষুধের গায়ে সময় লিখে দেয় কে
খুব কাঁদতে ইচ্ছে করলে কার বুকে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে কাঁদো
কে তোমার সিনেমার স্ক্রিপ্ট প্রথম পড়ে, কে মনে করিয়ে দেয় ভুলে যাওয়া সংলাপ
কবিতার ভুল বানান কে ঠিক করে, রেফারেন্সের জন্য কে ঘাঁটায় ভূগোল
জানতে ইচ্ছে করে, খুব জানতে ইচ্ছে করে।
শীর্ষ সংবাদ: