ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ইয়াসির শাহর নতুন রেকর্ড

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ইয়াসির শাহর নতুন রেকর্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই নিজেকে বেশ ভালভাবে প্রমাণ করেছেন। সাবেক অফস্পিনার সাঈদ আজমল ত্রুটিযুক্ত বোলিং এ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হন। এরপর আর তিনি নিজেকে ফিরে পাননি। নির্ভরযোগ্য এ স্পিনারের অভাবটা পুরোপুরিই পূরণ করেন ইয়াসির শাহ। অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি লেগস্পিনার শেন য়োর্নের পর তাকেই বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগস্পিনার হিসেবে ধরা হয়। পাকিস্তান দলে সেটার প্রমাণ তিনি দিয়ে গেছেন ধারাবাহিকভাবেই। এবার নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গেলেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনিই সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে ১৫০ উইকেট শিকারের মাইলফলক পেরিয়ে গেছেন। তার পেছনে পড়ে গেছেন মুত্তিয়া মুরলিধরন, ওয়ার্ন, অনীল কুম্বলেসহ কিংবদন্তিরা। আবুধাবীতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে তিনি শ্রীলঙ্কান টপঅর্ডার লাহিরু থিরিমান্নের উইকেট শিকারের মাধ্যমে এ মাইলফলক স্পর্শ করেন। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক লেগস্পিনার ক্ল্যারি গ্রিমেট ২৮ টেস্টে এই কীর্তি গড়েছিলেন। ২০১৪ সালের অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দুবাইয়ে অভিষেক ঘটে ইয়াসিরের। সেই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে (প্রথম ইনিংসে ৩, দ্বিতীয় ইনিংসে ৪) দারুণভাবে শুরু হয় তার পথচলা। তারপর আর থামতে হয়নি ইয়াসিরকে। নিয়মিতভাবেই প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের ঘুম হারাম করতে থাকেন তিনি। তবে ক্যারিয়ারে প্রথম বাধাগ্রস্ত হন ডোপটেস্টে পজিটিভ হয়ে। ২০১৫ সালের শেষদিকে আইসিসি তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করেছিল। সে কারণে কিছুদিন খেলতে পারেননি। এ কারণে অভিষেকের পর সময় অনুসারে তিনি দ্বিতীয় দ্রুততম সময়ে তিনি ১৫০ উইকেট শিকার করলেন। অস্ট্্েরলিয়ার পেসার মিচেল জনসন ২ বছর ১৩৯ দিন সময় নিয়েছেন ১৫০ উইকেট নিতে। তিনিই সবচেয়ে কম সময়ে এই কীর্তি গড়েন। তালিকায় ইয়াসির তিনে। তার সময় লেগেছে ২ বছর ৩৪১ দিন। তার ওপরে স্পিনারদের মধ্যে আছেন শুধু গ্রায়েম সোয়ান। সাবেক এই ইংলিশ স্পিনার ২ বছর ২৫০ দিন সময় নিয়েছিলেন ১৫০ উইকেট শিকার করতে। ২ বছর ৩৫৬ দিন সময় নিয়ে ইয়াসিরের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে আছেন ওয়ার্ন। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আবুধাবীতে সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। শুরুর আগে ২৬ টেস্টে ১৪৯ উইকেট ছিল ইয়াসিরের। তিনি থিরিমান্নের উইকেট নিয়ে ১৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন। স্পিনারদের মধ্যে আর কেউ টেস্ট ইতিহাসে এত কম ম্যাচ (২৭ ম্যাচ) এই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি। গ্রিমেট চলে গেছেন দুইয়ে। এরপর আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হাফ ওটফিল্ড, পাকিস্তানের সাঈদ আজমল ও ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন আছেন সেরা পাঁচে। তবে টেস্ট ক্রিকেটে কম ম্যাচে ১৫০ উইকেট নেয়ার দিক থেকে সাবেক ইংলিশ পেস বোলার সিডনি বার্নস সবাইকে ছাড়িয়ে। তিনি মাত্র ২৪ ম্যাচেই এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। পাক পেসার ওয়াকার ইউনুসের সঙ্গে একই কাতারে থেকে দুইয়ে ইয়াসির। ওয়াকারও ২৭ ম্যাচেই এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। আবার সবচেয়ে বেশি ডেলিভারিতে ১৫০ উইকেট নেয়ার দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে সাবেক অসি লেগস্পিনার স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল।
×