ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সিএসআরের অর্থ পর্যটন খাতের উন্নয়নে ব্যয় করার নির্দেশনা

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সিএসআরের অর্থ পর্যটন খাতের উন্নয়নে ব্যয় করার নির্দেশনা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংকগুলোকে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার ( সিএসআর) অর্থ দেশের পর্যটন খাতের উন্নয়নে ব্যয় করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো এই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনাকে বিবেচনায় নিয়ে এই শিল্পের বিকাশে স্থানীয় বিশ্ব ঐতিহ্য চিহ্নিত এলাকা, ঐতিহাসিক নির্দশন ও ধর্মীয় স্থাপনা, কৃষ্টি ও কালচার, প্রাকৃতিক সম্পদ, অরণ্য পাহাড়, হাওড়কে ভিত্তি করে পর্যটন আকর্ষণ, পর্যটন এলাকার সংরক্ষণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের সুবিধাদী প্রবর্তনে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন সেখানে সিএসআর কার্যক্রমের আওতায় অর্থ সহায়তার মাধ্যমে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, দেশের জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্পের গুরুত্ব বিবেচনায় সিএসআর কার্যক্রমের আওতায় এই খাতে উল্লেখযোগ্য হারে ব্যয়বরাদ্দ বাড়ানোসহ অর্থ সহায়তা দিতে হবে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় বিটিআরসির অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি। এই সময়ে বিটিআরসি’র আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬০ কোটি টাকা। কিন্তু বিটিআরসি আয় করেছে আরও ৬ কোটি টাকা বেশি। ফলে বিটিআরসির আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৬ কোটি টাকায়। আন্তর্জাতিক কল, মোবাইল কল থেকে আয়ের ভাগ, স্পেক্ট্রাম ফি, টেলিকম লাইসেন্স ফি, রাজস্ব ভাগাভাগি, বিলম্ব ফি, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের ডাউনলিংক চার্জসহ এ ধরনের আরও কিছু খাত থেকেই মূলত বিটিআরসি আয় করে থাকে। কমিশন সূত্র জানায়, বিটিআরসি’র আয়ের একটি বড় উৎস হলো আন্তর্জাতিক কল। বর্তমানে এই কলের রেট ১ দশমিক ৫ সেন্ট। তবে আইজিডব্লিউ (ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে) অপারেটররা ‘বিশেষ সুবিধা’ নিয়ে কল প্রতি ২ সেন্ট করে নেয়ায় দেশের আন্তর্জাতিক কল কমে গেছে। ফলে সরকারের আয় কমে গেছে বছরে দুই হাজার কোটি টাকা। কল প্রতি অপারেটররা ১ দশমিক ৬ সেন্ট করে নিলেও বিদেশী কলের পরিমাণ বাড়তো। বিটিআরসি’র আয় আরও বেশি হতো। জানা গেছে, প্রতিটি আন্তর্জাতিক কলের আয় থেকে বিটিআরসি রাজস্ব ভাগাভাগি বাবদ ৪০ শতাংশ অর্থ পায়। জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিটিআরসি’র আয় ছিল ৪ হাজার ২০৭ কোটি টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আয়ের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ২১৯ কোটি টাকা। তবে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে থ্রি-জির নিলাম ও টু-জি লাইসেন্সের নবায়ন থেকে কমিশন বড় অঙ্কের অর্থ আয় করে। যার পরিমাণ ছিল ১০ হাজার ৮৫ কোটি টাকা। তবে বিগত অর্থবছরগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় করলেও বিটিআরসি’র আয় আসলে কমছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছর ছাড়া অবশিষ্ট দুটি অর্থবছরের সঙ্গে হিসাব করলে দেখা গেছে, প্রতি অর্থবছরেই বিটিআরসি’র আয় কমেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হলেও বিগত বছরগুলোর তুলনায় আয় কম।
×