ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিএটিবির কর ফাঁকি তদন্তের দাবি

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিএটিবির কর ফাঁকি তদন্তের দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি কোটি কোটি টাকা কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে পাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা। তারা বলেন, এই কোম্পানিটি দেশের ক্ষতি করার পাশাপাশি দেশীয় বিড়ি শিল্পের বাজার দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমরা এই কর ফাঁকি দিয়ে বিদেশে অর্থ পাচারের তদন্ত দাবি করছি। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, নব্য ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানি বৃটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো দামী সিগারেট কম দামে বাজারে ছেড়ে একদিকে যেমন কম দামী সিগারেটের বাজার দখল করছে, তেমনি সরকারের কর ফাঁকি দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম কে বাঙ্গালী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হাকিম, দফতর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন। এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক লোকমান হাকিম। লিখিত বক্তব্যে লোকমান হাকিম বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাজেটে রাজস্ব বা কর কম বসানোর জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের ব্যবহার করছে। এমনকি জাতীয় রাজম্ব বোর্ডের সঙ্গে বাজেটের আগে তারা কয়েক দফা গোপন বৈঠক করে। যা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, বৈষম্যমূলক শুল্কনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে কোম্পানিটি সরকারের প্রভাবশালী মহলে ব্যাপক চাপ সৃষ্টি করে। যাতে বিড়ির বাজার সিগারেটের দখলে চলে আসে। তিনি বলেন, বিশেষ করে দামী সিগারেটের দাম ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রতি প্যাকেটে ছিল ৯০ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এক লাফে সেই সিগারেটের দাম করা হয়েছে ৭০ টাকা। আমরা মনে করি এই দাম কমানোর পেছনে বিএটি সরকারী কর্তাদের ব্যবহার করেছেন। ২০০৯-১০ থেকে ২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত চার বছরে প্রতিষ্ঠানটি সঠিকভাবে রাজস্ব পরিশোধ না করে ১ হাজার ৯২৪ কোটি টাকা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে। ওই টাকা যাতে না দিতে হয় সেজন্য হাইকোর্টে মামলা করেও হেরে যায়। মামলায় হেরে কোম্পানিটি এখন সমঝোতার জন্য কূটনৈতিক পর্যায়ে চেষ্টা করছে।
×