ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা

ভাল ঋণ গ্রহীতারা ১০ শতাংশ রিবেট পাবে

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ভাল ঋণ গ্রহীতারা ১০ শতাংশ রিবেট পাবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিয়মিত ঋণ পরিশোধকারী ভাল গ্রহকদের জন্য ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে আদায়যোগ্য সুদ বা মুনাফার ১০ শতাংশ মওকুফ (রিবেট) সুবিধা কার্যকর করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১৯ মার্চ থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের কোন তারিখে বিদ্যমান কোন গ্রাহক তার ঋণ হিসাবের আগের ৩ বছরের লেনদেন বিবেচনায় ভাল গ্রাহক চিহ্নিত হলে ২০১৫ সালে ১৯ মার্চ থেকে ওই গ্রাহক ১০ শতাংশ রিবেট সুবিধা পাবেন। তবে ২০১৫ সালের হিসাব চূড়ান্ত হয়ে গেলে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণপূর্বক ব্যাংক ২০১৬ সালেও রিবেট সুবিধা দিতে পারবে। এতদিন ব্যাংকগুলো থেকে খেলাপী ঋণ গ্রহীতারাই বিভিন্ন সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। কিন্তু যারা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করে আসছিলেন, তারা কোন সুযোগ-সুবিধা পাননি। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্নও ওঠে। এ প্রেক্ষিতে ভাল গ্রাহকদের প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০১৬ সাল ও পরবর্তী বছর থেকে কোন ভাল ঋণ গ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত হলে সংশ্লিষ্ট হিসাববর্ষে গ্রাহক প্রযোজ্য রিবেট প্রাপ্য হবেন। সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক সহিংসতার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে গত বছর ব্যাংকিং খাতে ৫শ’ কোটি বা তার বেশি পরিমাণ ঋণখেলাপীদের মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়েই ১২ বছরের জন্য ঋণ পুনর্গঠনের মাধ্যমে খেলাপী ঋণ নিয়মিত করার সুযোগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগের বছরও একই কারণে নামমাত্র ডাউনপেমেন্ট দিয়ে খেলাপী ঋণ পুনঃতফসিল করে নিয়মিত করার সুযোগ দেয়া হয়। ওই সময় প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার খেলাপী ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলমান ঋণের ক্ষেত্রে তিন বছর নিয়মিত ঋণ পরিশোধ সাপেক্ষে তৃতীয় বছরের শেষে ভাল ঋণ গ্রহীতার হিসাবের বিপরীতে ওই বছরে আদায় করা সুদ বা মুনাফার কমপক্ষে ১০ শতাংশ অব্যাহতি (রিবেট) দিতে হবে। পরবর্তী বছরগুলোতে ভাল গ্রহীতা হিসেবে চিহ্নিত থাকলে এ সুবিধা অব্যাহত রাখতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে বর্ধিত ঋণ সুবিধাও দিতে হবে। একইভাবে তলবি ও মেয়াদী ঋণ গ্রহীতাদের ক্ষেত্রেও এসব সুবিধা দিতে হবে। এছাড়া ব্যাংকগুলো বার্ষিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভাল ঋণ গ্রহীতাদের পুরস্কৃত করে সামাজিকভাবে মর্যাদাসম্পন্ন বিবেচনা করার মাধ্যমে উৎসাহিত করতে হবে। ‘ভাল ঋণ গ্রহীতা’ হিসেবে বিবেচনার মানদ- হিসেবে বলা হয়েছে যেসব চলমান, তলবি ও মেয়াদী ঋণের গ্রাহকরা পরপর তিন বছর ভালভাবে ঋণ পরিশোধ করেছেন, যাদের কোন ঋণ শ্রেণীকৃত করা হয়নি এবং তিন বছরের মধ্যে যাদের সংশ্লিষ্ট কোন প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিরূপমানে শ্রেণীকৃত হয়নি, তারা ‘ভাল ঋণ গ্রহীতা’ বলে বিবেচিত হবেন।
×