ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল ॥ দুর্ঘটনার আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নীলফামারী ও পঞ্চগড় জেলার চিলাহাটি-ভাউলাগঞ্জ সড়কের ওপর শতবর্ষী পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণের দাবি উঠেছে। সেতুটি নীলফামারীর সওজ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করার ৫ বছর অতিবাহিত হলেও ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ওই অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে ওই এলাকার মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। স্থানীয় লোকজন জানায়, নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি থেকে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের ভাউলাগঞ্জ বাজারের দূরত্ব মাত্র সাত কিলোমিটার ও পঞ্চগড় জেলা শহরের দূরত্ব ২৫ কিলোমিটার।এই সড়কের তিস্তাপাড়া নামকস্থানে বুড়িতিস্তা নদীর ওপর ব্রিটিশ আমলের একটি সেতু মেরামতের অযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ফলে এই পথে ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে প্রায় দুই যুগের বেশি সময় ধরে। এ অবস্থায় ওই পথের যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুর ওপর দিয়েই চলাচল করছে। তারপরও নড়বড়ে সেতুর কারণে চিলাহাটি-ভাউলাগঞ্জ অঞ্চলের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। স্থানীয় লোকজন আরও জানান, নীলফামারীর চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ঢাকা, খুলনা, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাওয়া-আসার জন্য আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে। চিলাহাটি থেকে পঞ্চগড়ের দূরত্ব মাত্র ২৫ কিলোমিটার। ফলে ওই অঞ্চলের যাত্রীরা এ পথে এসে ট্রেনেই চলাচল করে। কিন্তু তাদের চলাচলের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে সেতুটি। ইজিবাইকে ওই সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় কথা হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে। তারা পঞ্চগড়, আটোয়ারী, তেঁতুলিয়া থেকে এই পথে চিলাহাটি রেলস্টেশনে যান। সেখান থেকে আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেসে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া-আসা করেন। তেমনই একজন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজা বেগম। তিনি বলেন, পঞ্চগড়, দেবীগঞ্জ, বাংলাবান্ধা, তেঁতুলিয়া, বোদাসহ ওই অঞ্চলের বহু মানুষ চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে ট্রেনে কম খরচে সরাসরি ঢাকা, রাজশাহী, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করে।তারা চিলাহাটি-ভাউলাগঞ্জ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর কারণে মাত্র সাত কিলোমিটার পথের বদলে অতিরিক্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার পথ ঘুরে যাতায়াত করছে। বানিয়াপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম (৭৫) বলেন, সেতুটার বয়স ১০০ বছর পার হয়েছে অনেক আগেই। এখন আর এটা চলাচলের উপযোগী নেই।
×