ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী

শান্তি ও মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

শান্তি ও মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা

প্রতিকূল পরিবেশে যেসব ব্যক্তিত্ব মাথা ঠা-া রেখে মানব কল্যাণ ও শান্তির পক্ষে কাজ করে যেতে পারেন তাদের কাছে অনুকরণীয় উদাহরণ হচ্ছে শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশে এবং বিদেশে নিজের কর্মগুণে এক অনন্য নেত্রীত্বে পৌঁছেছেন। তাঁর এ বিশাল কর্তব্যবোধ, মানবপ্রেম একদিকে যেমন মানবকল্যাণের ধ্বজাকে উজ্জ্বল করেছে অন্যদিকে যারা অন্যায় করেছেন ও কর্তব্যহীন করেছেন এবং বর্বরের মতো আচরণ করে এদেশে গণহত্যা ১৯৭১-এ পাকিদের সহায়তা করেছিল সে সমস্ত যুদ্ধাপরাধীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানে কখনও পিছপা হননি। প্রসঙ্গক্রমে বলতে হয়, ৯ সেপ্টেম্বর ভারতের ব্যাঙ্গালুরে এমটিসি গ্লোবালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন করা সম্ভব– প্যানেল বিশেষজ্ঞ আলোচনায় রোহিঙ্গা ইস্যুতে আউং সান সুচি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যায় জুলফিকার আলী ভুট্টোর ভূমিকাকে উচ্চ শিক্ষিত হলেও তাদের শিক্ষিত বলা যাবে না বলে দাবি করি আউং সান সুচি। অথচ আজ তার মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ও সহযোগী জেনারেলরা গণহত্যায় লিপ্ত। তারা অগ্নি-গোলাবর্ষণ আর মাইন পেতে রেখেই কেবল সন্তুষ্ট নয়, বরং ধর্ষণকেও হাতিয়ার করেছে। এ সংক্রান্ত সংবাদ পত্রিকান্তরে প্রতিদিনই প্রকাশিত হচ্ছে। এ অঞ্চলে মিয়ানমার যে ধরনের সমস্যার সৃষ্টি করছে তা কিন্তু মোটেই আমাদের দেশের সমস্যা নয়, বরং ভারত তথা বাংলাদেশকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী চীন ও বারাক ওবামা এবং হিলারি ক্লিনটনের পরিকল্পনার বাস্তবায়নের অংশ। তবে সৌভাগ্য বলতে হবে যে, ওবামা ও হিলারি ক্ষমতায় না থাকায় তাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো প্রতিবাদ করছে এবং রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে আহ্বান জানাচ্ছে। জাপান শান্তিপ্রিয় জাতি হলেও কোন ধরনের প্রতিবাদ না করে মৌনতা অবলম্বন করছে। সেখানে আলোচনায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য যেটুকু বাংলাদেশের সামর্থ্য আছে তা ভাগাভাগি করে নেয়ার জন্য রোহিঙ্গাদের সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে শরণার্থী শিবিরে রাখার ব্যবস্থা শেখ হাসিনা করছেন। রোহিঙ্গা ইস্যুতে আজ এদেশের যে কূটনৈতিক বিজয় অর্জিত হয়েছে তা বর্তমান সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বগুণে সম্ভব হয়েছে। সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধু কন্যা যেভাবে দৃঢ়চিত্তে রোহিঙ্গা ইস্যু, সন্ত্রাস দমন এবং ১৯৭১ সালে দেশে ২৫ মার্চ পাকিস্তানী বাহিনী যে গণহত্যার সূচনা করেছিল তার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি করেছেন তা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হোন। সমসাময়িক ঘটনায় যেভাবে শেখ হাসিনা শান্তিপূর্ণ সমাধান চাচ্ছেন এবং মানব কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তা তাকে আজ অনন্য নেতৃত্বগুণে ভূষিত করেছে। শেখ হাসিনাকে অবশ্যই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে একাধিক শান্তিতে নোবেল বিজয়ী শেখ হাসিনার নাম সুপারিশ করেন। অক্সফোর্ড নেটওয়ার্ক পিস তার নাম নোবেল পুরস্কার কমিটির কাছে প্রস্তাব করেছে। পরে আরও নয়জন শিক্ষাবিদ বিদেশে তার নাম পুরস্কার দেয়ার সুপারিশ করেন। বর্তমানে যেভাবে রোহিঙ্গাদের পাশে তিনি দাঁড়িয়েছেন- তা কেবল এক বলিষ্ঠ নেত্রীর পক্ষেই সম্ভব। আর তাই তো দেখা যায়, উন্নত বিশ্বের দেশগুলো মিয়ানমারের অমানবিক আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর মন্তব্যের পাশাপাশি শরণার্থীদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এ্যামানুয়েল ম্যাক্রোন ইতোমধ্যে এ গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়া রোহিঙ্গা ইস্যুর কারণে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাহায্য স্থগিত করেছে। আউং সান সুচির ‘ইউনিয়সন’ ব্রিটেনের মানব উন্নয়ন ও সহায়তার ক্ষেত্রে অবদান স্থগিত করেছেন। সামরিক জান্তার হাতের পুতুল হয়ে মানব হত্যার লীলা করার দায় নারী-পুরুষের ধর্ষণের দায় শেষ পর্যন্ত ডিফেক্টে নেতা আউং সান সুচির ওপরই বর্তায়। ১৯৯৮ সালে আউং সান সুচিকে ড. অব ল’ দেয়া হয়েছিল যে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তারা তা স্থগিত করার কথা চিন্তা-ভাবনা করছেন। চ্যানেল-৪ এর সাংবাদিক জনস মিলার ‘মানবতার মা’ হিসেবে শেখ হাসিনাকে উল্লেখ করেছেন- এটি আসলে হবে ‘মানবতার কন্যা; যেভাবে শেখ হাসিনা মানবতার সেবা-শুশ্রƒষা করে দেশ এবং প্রতিবেশী দেশের বিপন্ন মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তার দৃঢ়চিত্ত প্রশাসনিক ক্ষমতার গুণে হাওড়ের ফসলহানি, দীর্ঘ দশ বছর পর বিশাল ও ভয়াবহ বন্যার পরও মানুষের পাশে নিজগুণে দাঁড়িয়েছেন এবং সমস্যার সমাধান এমনভাবে করেছেন তাতে তার কর্মক্ষমতা ও দক্ষতা ফুটে উঠেছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সমুদ্র বিজয় হয়েছে- এখন এ সমুদ্র সম্পদের দিক মিয়ানমারের নজর। তাই অনতিবিলম্বে সমুদ্র সম্পদ উত্তোলনের জন্য এ দেশের ব্যবস্থা নেয়া দরকার। একের পর এক দেশ, মানুষ, বিশ্ব, নিপীড়নের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সব সময়ে অবিচল থেকে শান্তির পথে রয়েছেন। জঙ্গী দমনে তার বলিষ্ঠ ভূমিকা রয়েছে। তিনি শান্তির পক্ষে, মানবতার জন্যে, কল্যাণের তরে তার অবস্থান সব সময় অবিচল হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আসলে অমানবিকতার একটি সীমা-পরিসীমা আজ মিয়ানমারের হাতে আবদ্ধ নেই। সেখানে সামরিক জান্তার দীর্ঘকাল ধরে আরাম আয়েশে থেকে মানুষকে হত্যা-নির্যাতন জাতিগত সমস্যার উদ্রেক করছে। আসলে রোহিঙ্গারা কখনও এদেশের বাঙালী ছিল না। আরাকান রাজ্যের অংশ বিশেষ ছিল। বিভিন্ন সময়ে রাজ্য ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে রাজত্ব সীমা পরিবর্তিত হয়েছে। প্রায় আট লাখ রোহিঙ্গা এদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এদিকে তিন লাখ কর্মক্ষম রোহিঙ্গা পুরুষকে এখনও আটকে রেখে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্যাতন করছে। রাখাইন রাজ্যে ১৯৪৮ থেকে কোন ধরনের উন্নয়ন সাধিত হয়নি বরং নৃশংসতা ও বর্বরতার এক মৌন সৌধে পরিচয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাধারণ মনোবল নেই। সেখানে এখনও নারী-শিশু-পুরুষ নির্যাতিত হচ্ছে। যেভাবে তারা ধর্ষণ-নির্যাতন করছে তাতে যারা এ সেনাবাহিনীর অংশ তাদের নিয়মিত বাহিনী না বলে দানবীয় বাহিনী বলা যায়। এমনকি ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না- অনেক সময়ে নৌকা পর্যন্ত এদেশে আসার সময় ডুবিয়ে দেয়া হচ্ছে। আসলে মিয়ানমারে জরুরী ভিত্তিতে শান্তিবাহিনী জাতিসংঘ কর্তৃক প্রেরণ করার উদ্যোগ নেয়া দরকার। এ লক্ষ্যে অবশ্যই নিরাপত্তা পরিষদকে সম্মতি প্রদান ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সময় পার হয়ে গেলে সেখানে যারা জঙ্গীবাদী, আল কায়েদা এবং তালেবানরা অপব্যবহার করবে না এর গ্যারান্টি কোথায়। তখন জঙ্গীবাদ বিস্তৃত হবে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত বাড়তেই থাকবে। কোন কোন দেশ যত যুদ্ধংদেহী মনোভাব দেখাচ্ছে সেটা আসলে কোন্ উদ্দেশ্যে করছে তা সত্যিই ভাবনার বিষয়। যেভাবে মিয়ানমারে জাতিগত নির্মূল হচ্ছে তাতে যারা এ কাজ করছে তারা পশুর চেয়েও অধম। এখন এটা প্রমাণিত যে, ২৫ আগস্টের ঘটনা আসলে একটি সাজানো নাটক, যা মিয়ানমার সেনাবাহিনী তৈরি করেছেন। পাকিস্তানী নাগরিক আরসা নেতা আতা উল্লাহ জুনুনিকে ধরার জন্য মিয়ানমার ভারতের সাহায্য নিতে পারত। সে ঘৃণ্য নেতা। কিন্তু তা না করে মিয়ানমার সবাইকে নির্মূলে অংশ নিয়েছে। যে সুচি ক’দিন আগেও একজন অভিনেত্রীর মতো অনেকটা রং-ঢং করে বলেছিলেন সে এসব নির্যাতন সব কিছু মিথ্যা, আজ বিশ্ববিবেকের চাপে এদেশে দূত পাঠাতে চাচ্ছে। ভারতও বুঝতে পারছে ১৯৪০-এ কিন্তু ভারতীয়দের মেরে কেটে তারা ফেরত পাঠিয়েছিল। আসলে দূত পাঠানোর নামে সময় ক্ষেপণ যাতে না হয়- সেদিকে লক্ষ্য রাখা দরকার। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান একমাত্র মিয়ানমারের হাতেই- সেখানে নিঃশর্তভাবে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে- আর তা করতে হবে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তির পথে অগ্রযাত্রার শামিল হয়ে। কোফি আনানের সুপারিশমালা অবশ্যই বাস্তবায়নে নিঃশর্তভাবে মিয়ানমারকে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সে প্রস্তাবনা জাতিসংঘে দিয়েছেন তার কোন বিকল্প নেই। সে প্রস্তাবনা অনুসারে সমস্যার সমাধান করতে হবে। যারা কখনও কস্মিনকালেও এ দেশের অধিবাসী ছিল না, তাদের সঙ্গে বর্বর আচরণ করার দায় মিয়ানমারের নেতৃবৃন্দের। আইএলও’র এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী ১১/১২ বছরের ছেলেমেয়েকে সেনাবাহিনীতে রিক্রুট করা শুরু করে এটি কোন সভ্য সমাজের মধ্যে পড়ে না। একমাত্র উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে মিয়ানমারের তুলনা হতে পারে। উত্তর কোরিয়া আরেকটি ঘৃণ্য রাষ্ট্র। শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি কূটনৈতিক প্রজ্ঞায় চীন ও রাশিয়া এখন আর প্রকাশ্যে মিয়ানমারের পক্ষ দেখাচ্ছে না। শেখ হাসিনা চিরন্তন বাঙালী হিসেবে শান্তির প্রতি সব সময়ে অঙ্গীকারাবদ্ধ। তার এ এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে দেশে বিএনপি-জামায়াত এবং তথাকথিত সুশীল সমাজে একটি অংশ খুঁত ধরার চেষ্টা করছে। অথচ তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া দেশের এই চরম সংকটের সময় চিকিৎসার নামে লন্ডনে অবস্থান করছেন। সম্প্রতি বিশিষ্ট সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী দেশের একটি ইংরেজী এবং বাংলা দৈনিকের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিতের কথা বলেছেন তার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। একটি ইংরেজী দৈনিকের বর্তমান ট্রাস্টির চেয়ারম্যানের অফিসেই কিন্তু ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচালসহ নানামুখী অপকর্ম এবং ১৫ জন তথাকথিত সুশীল সমাজের বৈঠক সে সময়ে হয়েছিল বলে পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়। সরকার তখন যদি উদারচিত্তে ব্যবস্থা না করে বরং আইনগত ব্যবস্থা নিত তাহলে আজ তাদের এ ধরনের কাজ করা সম্ভব হতো না। বাংলাদেশের নেত্রী মিয়ানমারের নির্যাতিত নাগরিকদের আশ্রয়-আবাস-খাদ্য, চিকিৎসা ও সেবার ব্যবস্থা করছেন, তখন সুচি অবলীলায় বলতে পারলেন, ভুয়া তথ্যের অবাধ প্রবাহের কারণেই নাকি রাখাইন পরিস্থিতি বিকৃতভাবে উপস্থাপনা করা হচ্ছে। তার এ মিথ্যাচার তাকে অন্ধকার গহ্বরে নিমজ্জিত করেছে। সুচি কি করে প্রত্যেকের সুরক্ষার ব্যবস্থা করছে বলে দাবি করেন তা বোধগম্য নয়? শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ডেসমন্ড টুটু সুচির এই গণহত্যার প্রতিবাদ করেছে। আরাকান রাজ্য অস্বীকার করা মানে তাদের পূর্ব পুরুষদের ঐতিহ্যকে ভুলে যাওয়া। অন্যদিকে এদেশের জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করেন তখন তার সোজাসাপ্টা বক্তব্য ছিল- রোহিঙ্গাদের সঙ্গে প্রয়োজনে আমরা খাদ্য-বস্ত্র-বাসস্থান ভাগাভাগি করে থাকবÑ যতদিন না তাদের দেশে তারা ফেরত যেতে পারেন। এখানেই জনদরদী শেখ হাসিনার বিজয়- তাকে মানবতার কন্যা হিসেবে, মানবতাবাদী হিসেবে পৃথিবীতে পরিচয় দিতে দেশে-বিদেশে কারোর বিন্দুমাত্র সঙ্কোচ নেই। এমনকি শ্রীলঙ্কা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে না। জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এ্যাম্বাসেডর মিকি হেলী মন্তব্য করেছেন যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আউং সান সুচি এবং তার সেনাবাহিনীকে এ বর্বরতার অবসান ঘটানোর নির্দেশ দিতে চান। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিভাগ নারীর প্রতি সহিংসতার প্রমাণ পেয়েছেন। সুচি যেখানে নারী হয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ করছেন না, সেখানে শেখ হাসিনা যেভাবে মানবতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছেন- তাকে অবশ্যই শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেয়া দরকার। এ ব্যাপারে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার কমিটির কাছে জোর আবেদন থাকবে- একজন সত্যিকার শান্তিপ্রিয় নেত্রী যিনি মানবতার ধারক-বাহক হিসেবে একনিষ্ঠভাবে কাজ করে চলেছেন তাকে তার কাজের স্বীকৃতি দিন। তিনি যেভাবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ‘সুরক্ষা বলয়’ স্থাপনের পরামর্শ দিয়েছেন তা আসলে বাস্তবায়ন করতে হলে জাতিসংঘের উদ্যোগ দরকার। ইতোমধ্যে তার প্রস্তাবসমূহ তাকে স্টেটম্যানে পরিণত করেছে। এ জন্য এ মানবতাবাদী নেত্রীকে বলিÑ জয়তু হাসিনা। লেখক : শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ
×