ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ব্যাটিংয়ে ভরসা তামিম, মুশফিক, ইমরুল

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ব্যাটিংয়ে ভরসা তামিম, মুশফিক, ইমরুল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা খুবই কঠিন। পেসবান্ধব উইকেটে ব্যাটসম্যানদেও তো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়। এমন উইকেটে আবার বাংলাদেশ বর্তমান টেস্ট দলের তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহীম ও ইমরুল কায়েস ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার অভিজ্ঞতা কারও নেই। আর তাই ব্যাটিংয়ে তামিম, মুশফিক, ইমরুলই ভরসা। শুরুতে মাংশপেশির চোট থেকে মুক্ত হওয়া ওপেনার তামিমকে হাল ধরতে হবে। এরপর অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে ইমরুলকে। এ দুইজনের পরে মাঝপথে ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ মুশফিককে হাল ধরতে হবে। এ তিনজন যদি নৈপুণ্য দেখাতে পারেন তাহলে দলও ভাল করার প্রত্যাশা করছে। আর তা নাহলে বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ২০০৮ সালে সর্বশেষ টেস্ট খেলে বাংলাদেশ। প্রায় ৯ বছর পর আবার বাংলাদেশ টেস্ট খেলতে নামবে আজ। সর্বশেষ দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তামিম অবশ্য খুব ভাল খেলতে পারেননি। ২ টেস্টের ৪ ইনিংসে ১৯.৫০ গড়ে ৭৮ রান করেছিলেন। তবে এ মুহূর্তে তামিম দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। শুরুতে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ে যদি তামিম একটা বড় ইনিংস খেলে দিতে পারেন তাহলে ম্যাচের মোড়ই যেন ঘুরে যায়। তামিম যদিও প্রস্তুতি ম্যাচটিতে ৫ রান করে মাংশপেশিতে টান লাগায় ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ হতেন। ব্যাট হাতে ম্যাচ খেলার অভাব থাকছে। কিন্তু ম্যাচে তামিমের কাছ থেকেই শুরুতে বিশেষ কিছুর প্রত্যাশা আছে। তামিমও ভাল কিছু দেয়ার অপেক্ষায় আছেন। নিজেই বলেছিলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকা হলো ওপেনারদের জন্য সবচেয়ে ডিফিকাল্ট জায়গা। তাই সেখানে যদি রান করতে পারি, বড় ইনিংস খেলতে পারি, সেটা আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বাড়িয়ে দেবে, দলেরও ভাল হবে। আমি সে চেষ্টাই করব। আমার স্কিলের ওপর আমার বিশ্বাস আছে। যদি সেট হতে পারি, এমন ইনিংস খেলব যেন সবার মনে থাকে।’ ইমরুল যদিও এরআগে দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতে খেলেছেন। কিন্তু ব্যর্থতাই তার সঙ্গী হয়েছে। ২ টেস্টের ৪ ইনিংসে ৬.২৫ গড়ে ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে কিভাবে খেলতে হয় তা ভাল করেই জানা আছে। তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও ইমরুল ভাল খেলেছেন। প্রথম ইনিংসে ৩৪ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান করেছেন। ইমরুল নিজেও আত্মবিশ্বাসী। নিজেই বলেছেন, ‘শুধু আমাদের জন্যই নয়, বিশ্বের যে কোন দলের জন্যই দক্ষিণ আফ্রিকা খুব কঠিন জায়গা। তবে চ্যালেঞ্জ না জানাতে পারার কিছু নেই। আমরা যদি নিজেদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারি তাহলে অনেক কিছুই সম্ভব। ব্যাটসম্যানরা দুই বছর ধরে দেশে আর দেশের বাইরে ভাল খেলছে। এ রকম খেলতে পারলে এখানেও ভাল কিছু করতে পারব। প্রস্তুতি ভালই হয়েছে। এখানে আমরা এক সপ্তাহ আগে এসেছি। একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। সব মিলিয়ে ভাল প্রস্তুতি হয়েছে। প্রস্তুতি ম্যাচের পারফর্মেন্সে সবার আত্মবিশ্বাসই বেড়েছে।’ তামিম ও ইমরুলের চেয়ে ২০০৮ সালে খেলা মুশফিক অবশ্য দুর্দান্ত ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন। ২ টেস্টে ৪ ইনিংসে ২৯.২৫ গড়ে ১১৭ রান করেন মুশফিক। বাংলাদেশ দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানও তিনি। এ মুহূর্তে দেশের সেরা ব্যাটসম্যানও ধরা হয় মুশফিককে। তার কাঁধে আবার দলের নেতৃত্বও আছে। তাই সামনে থেকেই মুশফিককে নেতৃত্ব দিতে হবে। দল যদি বিপদে পড়ে মুশফিককেই হাল ধরতে হবে। মুশফিকও প্রস্তুত। নিজেই বলেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকাতে আমাদের খুব একটা ভাল রেকর্ড নেই। আমাদের খুব কম খেলোয়াড়ই আছে দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলেছে। এটা এমন একটা জায়গাÑ সবগুলো দলই ওখানে সংগ্রাম করে। আমাদেরও হয়তোবা সংগ্রাম করতে হতে পারে। আমরা অবশ্যই ভাল খেলার চেষ্টা করব। সর্বশেষ খেলা বাংলাদেশের চেয়ে আমরা এখন অনেক বেশি পরিণত। অনেক উন্নত একটা দল। আমরা যদি আমাদের পরিকল্পনাগুলো ভাল করে বাস্তবায়ন করতে পারি, আমার মনে হয় আমাদের ভাল সুযোগ রয়েছে।’ সেই সুযোগ এখন কাজে লাগলেই হয়। সুযোগ কাজে লাগাতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এরআগে খেলার অভিজ্ঞতা থাকা তামিম, মুশফিক ও ইমরুলকেই ভরসার প্রতিদান দিতে হবে।
×