ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

মিয়ানমারকে চাপ দিতে সুইস সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৮:০০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মিয়ানমারকে চাপ দিতে সুইস সহযোগিতা চান রাষ্ট্রপতি

বিডিনিউজ ॥ রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। সুইজারল্যান্ডের নতুন রাষ্ট্রদূত রেনে হলেনস্টাইন মঙ্গলবার বঙ্গভবনে তার পরিচয়পত্র পেশ করতে এলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন পরে সাংবাদিকদের বলেন, রাষ্ট্রপতি নতুন রাষ্ট্রদূতকে বঙ্গভবনে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানান। তার দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলেও রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন। রোহিঙ্গা সঙ্কটের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বড় সমস্যা। রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন বন্ধে এবং তাদের দেশে ফেরা নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখতে তিনি সুইজারল্যান্ড সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। মিয়ানমারে দমন-পীড়নের মুখে গত একমাসে সাড়ে চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। আরও প্রায় চার লাখ শরণার্থী গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে বসবাস করে আসছে। ১৯৯২ সালে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির আওতায় মিয়ানমার সোয়া দুই লাখের মতো রোহিঙ্গাকে ফেরত নিয়েছিল। কিন্তু পরে সেই প্রক্রিয়া আর এগোয়নি। বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ডের বিরাজমান সম্পর্ককে ‘অত্যন্ত চমৎকার’ অভিহিত করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুইজারল্যান্ড সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এ সহায়তা আরও বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। সুইস রাষ্ট্রদূত এ সময় বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এ সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে। ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জোয়াও তাবাজারা ডি অলিভেরাও এদিন রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেন। নতুন দূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ব্রাজিলে বাংলাদেশের দূতাবাস চালুর ফলে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যথেষ্ট সম্প্রসারিত হয়েছে। এর পরিমাণ আরও বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। এ লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে সরকারী- বেসরকারী পর্যায়ে সফর বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রাষ্ট্রপতি। বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, ওষুধ, পাটজাত পণ্য, সিরামিকসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন করে জানিয়ে ব্রাজিলে এসব পণ্যের রফতানি বৃদ্ধিতে রাষ্ট্রদূতকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানান আবদুল হামিদ।
×