ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে আমন ক্ষেতে পোকা॥ ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

যশোরে আমন ক্ষেতে পোকা॥ ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মনিরামপুরে নলি ও গোয়ালমাছির আক্রমণসহ রোপা আমন ধানের পাতা পচা রোগে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বিভিন্ন এনজিও ও সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে যেসব কৃষক ধান চাষ করেছেন তাদের আর্থিক সঙ্কট পড়তে হবে বলে জানিয়েছেন চাষীদের অনেকে। সঙ্কট উত্তরণে সংশ্লিষ্ট অফিসের কোন পরামর্শ পাওয়া যাচ্ছে না বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্ষতিরমুখে পড়া কৃষকরা। জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ২২ হাজার ১২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ করা হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ আমন ক্ষেত নলি ও গোয়াল মাছিসহ পাতা পচা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ফলে কাক্সিক্ষত ফলন নিয়ে কৃষকরা চিন্তায় ভেঙ্গে পড়েছেন। উপজেলার চালুয়াহাটি, খেদাপাড়া ও রোহিতা ইউনিয়নে গেলে এমন চিত্র চোখে পড়ে। চালুয়াহাটি গ্রামের আব্দুল লতিফ জানান, তার ২৪ কাঠা আমন ধান পাতা পচা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। শুধু তিনি নন, তার মতো আরও অনেক কৃষকের জমির ধানে একই অবস্থা। সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিসের কোন পরামর্শ পেয়েছেন কি-না জানতে চাইলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, তাদের চেহারাও কখনও দেখিনি। একই গ্রামের আহাদ আলী বলেন, কোম্পানির লোকেরাই এসে ক্ষেতে এই ওষুধ, সেই ওষুধ দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। রোহিতা ইউনিয়নের কোদলাপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমান বলেন, তার প্রায় ১ বিঘা জমিতে ধানের গোড়া থেকে পেঁয়াজের পাতার মতো ধানের চারা উঠছে। কোম্পানির লোকেরা তাকে জানিয়েছেন এটি নলি ও গোয়াল মাছির কারণে হচ্ছে। এখনও সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিসের কোন পরামর্শ পাননি বলে অভিযোগ করেন তিনি। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা এলাকায় ৫০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু অধিকাংশ ইউনিয়নের কৃষক প্রয়োজনের সময় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা পান না বলে অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে তুহিন, দর্পন বিশ্বাস, মারুফুল ইসলামসহ কয়েকজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তারা এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন। জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার তরফদার সাংবাদিকদের বলেন, যশোর জেলাব্যাপী আমন ধানে এ ধরনের পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। সঙ্কট উত্তরণে করণীয় বিষয় নিয়ে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা করলাক্স, ডায়োজেনন, দানাদার জাতীয় ওষুধ স্প্রে করতে কৃষকদের বার বার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। শীঘ্রই ইউনিয়নে ইউনিয়নে কৃষকদের পরামর্শ দিতে মাইকিং করা হবে বলেও তিনি জানালেন।
×