ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কুমিল্লায় হত্যা মামলায় চার আসামির যাবজ্জীবন

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কুমিল্লায় হত্যা মামলায় চার আসামির যাবজ্জীবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২৬ সেপ্টেম্বর ॥ মেঘনা উপজেলার চন্দনপুর গ্রামের মৃত আবদুল মজিদ আখন্দের ছেলে প্রবাসী আবদুল মোমেন আখন্দ হত্যা মামলায় ৪ আসামির যাবজ্জীবন কারাদ-ের আদেশ দেয়া হয়েছে। কুমিল্লার অতিরিক্ত সেশন জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক নূরনাহার বেগম শিউলী মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন। দ-প্রাপ্তরা হচ্ছে- একই গ্রামের ইদুল্লাহ, সাইফুল্লাহ, শাহাদাত ও এন্তাজ মিয়া। উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ১১ জুলাই রাতে প্রবাসী আবদুল মোমেন আখন্দকে তার ঘরের ভেতর ঢুকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এ ঘটনায় মোমেনের বড় ভাই আবদুল মালেক আখন্দ বাদী হয়ে মেঘনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ মামলার তদন্ত শেষে ১৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। মঙ্গলবার এ মামলার রায়ে আসামিদের মধ্যে একই গ্রামের ইদুল্লাহ, সাইফুল্লাহ, শাহাদাত ও এন্তাজ মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদ-, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদ-ের আদেশ দেয়া হয়। অপর ১২ আসামির মধ্যে ৭ আসামিকে খালাস প্রদান করা হয় এবং মামলাটি বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ৫ আসামি মৃত্যুবরণ করেন। পিরোজপুর নিজস্ব সংবাদদাতা, পিরোজপুর থেকে জানান, ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালক শহিদ হত্যা মামলায় সোহেল হাওলাদার নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদ- দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম এ রায় দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট সদর উপজেলার খারদার গ্রামের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক শহিদের সঙ্গে সোহেল হাওলাদারের ভাল সম্পর্ক ছিল। সোহেল বাগেরহাটের নোনাডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করত। ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট সোহেল শহিদকে নিয়ে তার মোটরসাইকেলে পিরোজপুরের বড় খলিশাখালি গ্রামে আসেন। এরপর দুপুর ১টার দিকে শহিদকে নিয়ে সোহেল ডাব খাওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী ওদোনকাঠি গ্রামে বাগানবাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর সেখানে গিয়ে শহিদকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।
×