ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে হাওড় রক্ষা বাঁধ নিয়ে মতবিনিময়

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সুনামগঞ্জে হাওড় রক্ষা বাঁধ নিয়ে মতবিনিময়

নিজস্ব সংবাদদাতা সুনামগঞ্জ ॥ সুনামগঞ্জে হাওড় রক্ষা বাঁধ সমুহের নির্মাণ পদ্ধতি, সমস্যা ও সমাধানের উপায় নিযে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী’র হাসন রাজা মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়। সভায় আগামি বছর হাওড়ের বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মানের সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এজন্য কি কি করনীয় কি কি সমস্যা আছে সেগুলো বিস্তারিতভাবে নিজেদের অভিজ্ঞতার আলোকে তুলে ধরেণ উপজেলার চেয়াম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যগন, সাংবাদিক, বাঁধ এলাকার সংশ্লিষ্ট কৃষক, বিভিন্ন শ্রেণীপেশার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ। জেলা প্রশাসক মো: সাবিরুল ইসলামের সভাপিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামানের সঞ্চালনায় উপস্থিত বক্তব্য রাখেন, পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিদ্দিকুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. জাহেদুল হক, জেলা মুক্তিযুদ্ধা ইউনিট কমান্ডার হাজী নুরুল মোমেন, হাওড় বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাচাঁও আন্দোলনের যুগ্ম আহব্বায়ক মুক্তিযুদ্ধা আবু সুফিয়ান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেরগুল আহমদ, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান পীর, সাংবাদিক এমরানুল হক চৌধুরী, মাছুম হেলাল, সেলিম তালুকদার প্রমুখ। এসময় জেলা প্রশাসক মো: সাবিরুল ইসলাম ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক বাঁধ নির্মান পদ্ধতি, সমস্যা ও সমাধানের উপায় বিষয়ক বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং সরকারের কর্ম পদ্ধতি তুলে ধরেণ। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক তাঁর বক্তব্য বলেন, নতুন নীতিমালা অনেক কিছুই আগের নীতিমালায় ছিল যা মানা হতো না। যার কারণে এই সমস্যাগুলি সৃষ্টি হয়েছে। এবছর আমরা এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, এবার শতভাগ নীতিমালা মেনে সবগুলো বাঁধ নির্মাণ করা হবে। এক্ষেত্রে আপনাদের সবার সহযোগিতা ও মনিটরিং প্রয়োজন। তিনি বলেন, এবার বাঁধ নির্মাণে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি’র জন্য বরাদ্ধ এসছে ২৮ কোটি ৮৯ লক্ষ টাকা। জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম বলেন, বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে কোথাও কোনো ত্রুটি বিচ্চুতি দেখলে সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের ফেসবুক পেইজ, ওয়েব পোর্টাল অথবা মৌখিক ও লিখিত ভাবে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানালে তাৎক্ষনিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাস্টাররোল মেনে সকল পিআইসি কাজ করতে হবে। প্রকল্পের সাইনবোর্ডে বাঁধের সকল বিষয়াদি উল্লেখ থাকবে। বাঁধ মনিটরিংয়ের জন্য একাধিক মনিটরিং কমিটি তত্ত্বাবধায়ন করবে। তারপরও সাংবাদিকরা সংবাদের মাধ্যমে যেসব বিষয়াদি তুলে ধরবেন তা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে জেলা প্রশাসন তদারকি করবে। এছাড়াও প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের ৪০ দিনের কর্মসূচি, কাজের বিনিময়ে টাকা(কাবিটা) এলজিইডির বিভিন্ন প্রকল্প, হিলিপের প্রকল্প কর্মসূীচগুলো বাঁধ নির্মাণের কাজের সাথে সংযুক্ত করা হবে। যেহেতু এবারই প্রথম সরাসরি জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধায়নে হাওড়ের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আমরা শতভাগ জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে বদ্ধ পরিকর।
×