ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভুয়া জামিননামায় আসামির কারামুক্তির ঘটনায় জেল সুপারের ক্ষমা প্রার্থনা

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ভুয়া জামিননামায় আসামির কারামুক্তির ঘটনায় জেল সুপারের ক্ষমা প্রার্থনা

কোর্ট রিপোর্টার ॥ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া জামিননামায় অপহরণ মামলার এক আসামির কারামুক্তির ঘটনায় ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোঃ জাহাঙ্গীর কবির নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। সোমবার ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তিনি উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক জয়শ্রী সমাদ্দার প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে পরে আদেশ দিবেন বলে জানিয়েছেন। পালিয়ে যাওয়া আসামি মিজানুর রহমান ওরফে মিজান মাতুব্বরের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে ট্রাইবুন্যাল। সোমবার জেলার লিখিত ব্যাখ্যায় বলেছেন, গত ৩০ আগস্ট ওই আসামি জামিন সংক্রান্ত ছাড়পত্র পান। এরপর তারা ৩১ আগস্ট ওই আসামিকে মুক্তি দেন। তারা ব্যাখ্যার সঙ্গে ছাড়পত্রের কপিও ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। এ সম্পর্কে ওই ট্রাইব্যুনালে স্পেশাল পিপি ফোরকান মিয়া বলেন, তাদের ট্রাইব্যুনাল থেকে কোন ছাড়পত্র কারাগারে যায়নি। কারাকর্তৃপক্ষ কোন জামিনের ছাড়পত্র পেলে তাদের যাচাই করা উচিত ছিল যা তারা করেননি। তাই এখন আদালত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর মামলার অপর ১১ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছিল আদালত। বাকি আসামিরা হলেন, রেজাউল করিম, নজরুল ইসলাম, মশিউর রহমান মন্টু, আলীম হোসেন চন্দন, সজীব আহমেদ ওরফে কামাল উদ্দিন, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ইকবাল হোসেন শুভ, জাহির উদ্দিন মোহাম্মাদ বসার, শেখ মোঃ অলিউল্লাহ, রেজা মৃধা ও কাউছার মৃধা। গত ১০ অক্টোবর মামলাটি চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য ছিল। কারাগারে আটক আট আসামির সাতজনকে ওইদিন কারাকর্তৃপক্ষ আদালতে হাজির করেন। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি মিজান মাতুব্বরকে আদালতে হাজির না করলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলারকে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে বলে ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালের ২ মে মাসে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন স্টাফ রোড এলাকায় ফ্লাইওভারের নিচ হতে শিশু আবীরকে (৮) তাদের প্রাইভেটকার থেকে অপহরণকারীরা ছিনিয়ে নিয়ে মাইক্রোবাসে অপহরণ করে। এরপর অপহরণকারী ১০ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরবর্তীতে একাধিক ব্যাংকের হিসাবের মাধ্যমে ১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং নগদ ২৭ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিলে অপহরণকারীরা শিশু আবীরকে ছেড়ে দেয়। পরে ওই ঘটনায় আবীরের মামা এনায়েত উল্লাহ বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করলে র‌্যাব ৫ আসামিকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আসামি মিজান, রেজাউল ও নজরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশের পরিদর্শক কবির হোসেন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন।
×