ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাতিসংঘ চিকিৎসক দল

রোহিঙ্গা নারীরা ভয়াবহ গণধর্ষণের শিকার হয়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা নারীরা ভয়াবহ গণধর্ষণের শিকার হয়েছে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ জাতিসংঘের চিকিৎসকরা বলেছেন, মিয়ানমারের আরাকানে নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গা নারীদের ওপর পৈশাচিক কায়দায় যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থার (আইওএম) স্বাস্থ্যবিষয়ক সমন্বয়ক নিরন্ত কুমার বলেন, নারীদের শরীরের আঘাত দেখে বোঝা যায়, তাদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর আগ্রাসী যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। তারা নির্মম গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। খবর ইন্ডিপেন্ডেন্ট অনলাইনের। তারা বলেন, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা নারীদের শরীরে আঘাত, ধর্ষণ ও তাদের যোনিপথে মারাত্মক ক্ষত সৃষ্টি করেছে। রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের চিকিৎসায় বাংলাদেশে জাতিসংঘের আট চিকিৎসক কাজ করছেন। এসব চিকিৎসক বলেন, গত আগস্ট থেকে শারীরিকভাবে আহত ২৫ নারীকে তারা চিকিৎসা দিয়েছেন। চিকিৎসক তাসনুবা নওরিন বিশ বছর বয়সী ধর্ষণের শিকার এক তরুণীর কথা বলেন। তিনি জানান, আমরা তার ত্বকে ধর্ষণের আলামত পেয়েছি। তাকে খুব জবরদস্তিমূলক ও অমানবিক কায়দায় ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে মিয়ানমারের নেত্রী আউং সান সুচির মুখপাত্র বলেন, কর্তৃপক্ষ ধর্ষণের অভিযোগ তদন্ত করে দেখবে। ধর্ষণের শিকার নারীদের আমাদের কাছে আসা উচিত। আমরা তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেব এবং এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেব। চিকিৎসাবিষয়ক মানবাধিকার সংস্থা মেডিসিন্স সানস ফ্রন্টিয়ার্সের জরুরী চিকিৎসা সমন্বয়ক কেট হোয়াইট বলেন, আশ্রয়শিবির থেকে আমরা ধর্ষণের ঘটনা যা ঘটেছে, সেই তুলনায় খুব কম তথ্য পেয়েছি। সাহায্য সংস্থাগুলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতায় ৩৫০জনকে বিশেষ চিকিৎসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এসব নারী ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা ও যৌন নিগ্রহের শিকার হয়েছেন।
×