ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ধসে পড়েছে ৫ মাটির ঘর

বেড়িবাঁধ কেটে দেয়ায় পাহাড়ী ঢলের পানি লোকালয়ে

প্রকাশিত: ০৪:৫৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বেড়িবাঁধ কেটে দেয়ায় পাহাড়ী ঢলের পানি লোকালয়ে

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া, ২৫ সেপ্টেম্বর ॥ গভীর রাতে পাহাড়ী ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকে পটিয়ায় আরও পাঁচটি মাটির ঘর ধসে পড়েছে। উপজেলার ভাটিখাইন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পূর্ব ভাটিখাইন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে হতাহতের কোন খবর পাওয়া যায়নি। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত একের পর এক পাঁচটি ঘর সম্পূর্ণ ধসে পড়ে। বর্তমানে ওই এলাকার অনিল দাশ, রাখাল আচার্য, দুলাল আচার্য, প্রভাষ সরকার ও অর্জুন দাশের পরিবার খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। মূলত পটিয়া ইন্দ্রপুল-গিরি চৌধুরী বাজার বাইপাস সড়কের ঠিকাদারের অবহেলার কারণে পঞ্চমবারের মতো এলাকার লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে মুসলমান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ৩০টি মাটির ঘর পড়ে যায়। ভাটিখাইন স্টিল ব্রিজ এলাকায় বাইপাস সড়কের ঠিকাদার শ্রীমাই খালের কিছু অংশ অবৈধভাবে কেটে দেয়ার ফলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ বখতিয়ার অভিযোগ করেন। জানা গেছে, রবিবার রাত আড়াইটার দিকে ভারি বৃষ্টি হয়। ওই বৃষ্টির পানি ছাড়াও পাহাড়ী ঢলের পানি উপজেলার পূর্ব ভাটিখাইন গ্রামে ঢুকে পড়ে কোমর পরিমাণ পানি জমে থাকে। সকাল থেকে এলাকার লোকজন অনেকটা পানিবন্দী হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ৭নং ওয়ার্ডের অনিল দাশ, রাখাল আচার্য, দুলাল আচার্য, প্রভাষ সরকার ও অর্জুন দাশের পাঁচটি মাটির ঘর সম্পূর্ণ ধসে পড়ে। তাছাড়া পাহাড়ী ঢলের পানিতে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে বলে জানা গেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজায় দর্শনার্থীদের চলাচলের জন্য গত কয়েকদিন আগে ভাটিখাইন ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে পূর্ব ভাটিখাইন প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়ক, কালীবাড়ি সড়ক, করনাপাড়া সড়ক, নন্দ পুকুরপাড় সড়কসহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ সড়ক সংস্কার করা হলেও পাহাড়ী ঢলের পানিতে তা তলিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম জজকোর্টের আইনজীবী ও ভাটিখাইন গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ খুরশিদ আলম জানিয়েছেন, বাইপাস সড়কের ঠিকাদারের অবহেলার কারণে তাদের গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে এ পর্যন্ত পঞ্চমবারের মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগে প্রায় ৩০টি মাটি ঘর পড়ে যায়। এসব পরিবার এখনও ঘরে ফিরতে পারেনি। বেড়িবাঁধ কেটে দেয়ার ফলে এলাকার মানুষের মাটির ঘরগুলো এভাবে একের পর এক পড়ে যাচ্ছে।
×