ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

তিন গৃহবধূকে হত্যা

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

তিন গৃহবধূকে হত্যা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যশোর, কিশোরগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরে তিন গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। সিলেটে শিশুকে গলাটিপে হত্যা, গাজীপুর ও গাইবান্ধায় ৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানোÑ যশোর চৌগাছায় নাজমা বেগম (২৫) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী নির্যাতনে মারা গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাজমা উপজেলার বহিলাপোতা গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী একরামুলের স্ত্রী এবং একই উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের মৃত আজগর আলীর মেয়ে। তিনি বহিলাপোতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিলেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে চৌগাছা হাসপাতালে নাজমার মৃত্যু হয়। নিহতের মামা সামাউল ইসলাম ও বোনজামাই আরমান আলী জানান, কয়েক বছর আগে নাজমার বিয়ে হয় উপজেলার বহিলাপোতা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে একরামুলের সঙ্গে। বিয়ের পর সাইকেল, ঘড়িসহ আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র দেয়া হয়। তবুও নাজমার শ্বশুর-শাশুড়ি যৌতুকের জন্য নাজমাকে নিপীড়ন করত। চলতি বছরের শুরুর দিকে নাজমার স্বামী একরামুল বিদেশ যাওয়ার জন্য যৌতুকের টাকা এনে দিতে বলে। সে সময় নাজমা বাবারবাড়ি থেকে যে জমি পেত তা বিক্রি করে ৩ লাখ টাকা দিয়ে একরামুলকে বিদেশ পাঠানো হয়। এরপরও দুই/তিন মাস আগে নাজমার শ্বশুর ও শাশুড়ি তাকে মারধর করে। আমরা এসে মীমাংসা করে দিয়ে যাই। সোমবার সকালে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে হাসপাতালে এসে দেখি নাজমার মৃত্যু হয়েছে। তারা বলেন, নাজমার গলায় এবং শরীরে নির্যাতনের দাগ রয়েছে। তাদের অভিযোগ, নাজমার শ্বশুর ও শাশুড়ি নির্যাতনের পর তার মুখে কীটনাশক ঢেলে দিয়েছে। তারা জানান নাজমা যখন খুবই ছোট তখন একইদিনে তার পিতা-মাতা বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। এরপর চাচি শেফালী খাতুনের কাছে পালিত হন। তারা উভয়ে জানান এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে। কিশোরগঞ্জ পারুল আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার গভীর রাতে সদর উপজেলার ডাহুকিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী শফিক আহমেদ খান ও দেবরসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ১০-১১ বছর আগে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের পারুলের সঙ্গে সদরের ডাহুকিয়া গ্রামের আব্দুল বারি খানের ছেলে শফিক আহমেদ খানের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুটি সন্তানও রয়েছে। সম্প্রতি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ ও ঝগড়াবিবাদ বেড়ে গিয়েছিল। এর জেরে রবিবার রাত ৩টার দিকে গৃহবধূ খুন হয়। সকালে থানা পুলিশ খবর পেয়ে স্বামীর বাড়ির কাছে একটি মাছের খামারের পাশ থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। রায়পুর, লক্ষ্মীপুর লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে গৃহবধূ শাহিদা আক্তারকে (৩০) শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামে রবিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ শাহিদার স্বামী আনোয়ার হোসেনকে আটক করে। নিহত শাহিদা চরলক্ষী গ্রামের মৃত ছাত্তার হাওলাদারের মেয়ে এবং স্বামী আনোয়ার বরিশালের হিজলার চরকিল্লা গ্রামের কালু খলিফার ছেলে। ৮ বছর আগে আনোয়ার ও শাহিদার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এর কয়েক মাস পর আনোয়ার শাহিদাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছে। তাদের সংসারে দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কলহ হতো। রবিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাদানুবাদ হয়। এর জের ধরে আনোয়ার ক্ষিপ্ত হয়ে ঘরেই শাহিদাকে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে পরিবারের অভিযোগ। সিলেটে শিশু স্টাফ রিপোর্টার সিলেট ॥ কানাইঘাট উপজেলার বাহাইছড়া গ্রামে আফছানা বেগম (৪) নামের এক শিশুকে গলাটিপে হত্যা করেছে সৎ মা। এই অভিযোগে সৎ মা নাছিমা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আফছানা ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলমগীর হোসেনের মেয়ে। জানা যায়, নাছিমা তার সৎ মেয়ে আফছানাকে সহ্য করতে পারত না। শিশুটিকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত। এ কারণে কয়েকবার স্বামীর রোষানলেও পড়তে হয়েছে তাকে। সোমবার পিতার অনুপস্থিতিতে একা ঘরে শিশু আফসানাকে গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা নাছিমাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। গাজীপুরে দুই লাশ উদ্ধার স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ জেলায় শিশুসহ দু’জনের লাশ সোমবার বিকেলে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। দুর্বৃত্তরা তাদেরকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। জানা গেছে, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের পূবাইলের জাঝর এলাকার আইরিশ গার্মেন্টের পাশে বাউন্ডারি দেয়া একটি পতিত জমির দক্ষিণ-পূর্ব পাশে সোমবার চার বছরের এক শিশুর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুর লাশ উদ্ধার করে। শিশুটির মাথা, ঘাড়, বুকসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এদিকে শ্রীপুর উপজেলার মারতার সামসুদ্দিনের সবজি ক্ষেতে সোমবার দুপুরে গলায় ওড়না পেঁচানো এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে বিকেলে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তার পরনে প্রিন্টের সালোয়ার এবং গোলাপি রঙের কামিজ ছিল। গাইবান্ধায় শ্রমিক নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়নের রাঘবিন্দুপুর গুচ্ছগ্রামের পাশের জমি থেকে মাজেদুল ইসলাম সান্টু (৩৫) নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের লাশ রবিবার রাতে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একটি সবজি ক্ষেতে তার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ছিল। নিহত সান্টু কুষ্টিয়া জেলার ইবি থানার হরি নারায়ণপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। সে একজন টাইলস মিস্ত্রি।
×