ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কুর্দী গণভোট নিয়ে প্রতিবেশী দেশের উদ্বেগের নেপথ্যে-

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭

কুর্দী গণভোট নিয়ে প্রতিবেশী দেশের উদ্বেগের নেপথ্যে-

ইরাকে কুর্দীস্তানের স্বাধীনতার প্রশ্নে সোমবার সেখানে গণভোট সম্পন্ন হয়েছে। যেহেতু ইরাক ছাড়াও কুর্দীরা আশপাশের কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে আছে, তাই এ গণভোটকে ঘিরে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। তবে কেন এ উৎকণ্ঠা আর কুর্দীরাইবা কেন নিজেদের অন্যদের চেয়ে আলাদা বলে মনে করে? ইরাক ছাড়াও তুরস্ক, ইরান, সিরিয়া ও আর্মেনিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে কুর্দীরা বাস করে। তাদের সংখ্যা আড়াই থেকে সাড়ে তিন কোটির মতো। মধ্যপ্রাচ্যে তারা চতুর্থ বৃহত্তম জাতিগোষ্ঠী। কিন্তু তারা কখনই তাদের নিজেদের একটি স্বাধীন রাষ্ট্র পায়নি। খবর বিবিসির। কুর্দীরা হচ্ছে মেসোপোটেমিয়ার সমভূমি আর পার্বত্য এলাকাগুলোর আদি বাসিন্দা। এ এলাকা এখন ভাগ হয়ে গেছে নানা দেশের মধ্যে- দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক, উত্তর-পূর্ব সিরিয়া, উত্তর ইরাক, উত্তর-পশ্চিম ইরান আর দক্ষিণ পশ্চিম আর্মেনিয়া। তারা একই নৃগোষ্ঠী, নিজস্ব সংস্কৃতি ও ভাষার বন্ধনে আবদ্ধ। কুর্দীদের অধিকাংশই সুন্নি মুসলিম, তবে অন্য ধর্মের লোকও আছে। বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই স্বাধীন কুর্দিস্তানের দাবি উঠতে শুরু করেছিল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর অটোমান সাম্রাজ্যের পতন হলে পশ্চিমা দেশগুলোর করা ১৯২০ সালে সেভরেস চুক্তিতে কুর্দী রাষ্ট্রের কথা ছিল। কিন্তু তিন বছর পর লুজান চুক্তিতে আধুনিক তুরস্কের যে মানচিত্র তৈরি হলো তাতে কুর্দী রাষ্ট্রের ধারণা বাদ পড়ল। কুর্দী এলাকাগুলো একাধিক দেশে ভাগ হয়ে গেল এবং কুর্দীরা হয়ে গেল সংখ্যালঘু। এরপর কুর্দীরা যখনই কোথাও স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করেছে, তাদের সে আন্দোলন নির্মমভাবে দমন করা হয়েছে। সিরিয়ায় কুর্দী সংগঠনগুলো ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। কিন্তু আইএসবিরোধী যুদ্ধে তুরস্ক তাদের সহযোগিতা করছে না।
×