ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ছোট-খাটো অসুখে ঘরোয়া সমাধান

প্রকাশিত: ০৬:৫০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ছোট-খাটো অসুখে ঘরোয়া সমাধান

মাথা ব্যথা, পেট ফাপা, গলায় খুসখুসে ভাব নানা প্রকার ছোটখাটো অসুখ আমাদের লেগেই থাকে। আর এসব অসুখের বিরক্তিকর যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আমরা গাদাগাদা ওষুধও সেবন করে থাকি। কিন্তু নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই এসব অসুখে ঘরোয়া উপায়েই আপনি পেতে পারেন সুস্থতা। কীভাবে? চলুন জেনে নিই- গলার খুসখুসে ভাব দূর করতে ২ কাপ পানিতে ১ মুঠো পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটাতে থাকুন। পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণে হলে নামিয়ে নিন। এই পানি দিয়ে গার্গল করুন সকাল বিকেল। খুসখুসে ভাব দূর হবে সহজেই। সাইনাসের কারণে নাক বন্ধের সমস্যায় আধা কাপের কম পরিমাণ গরম পানিতে সামান্য অর্গানিক আপেল সিডার ভিনেগার ও ১ চিমটি গোলমরিচ গুঁড়ো দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। দিনে ২ বার এই মিশ্রণটি চায়ের মতো পান করুন। মাথাব্যথায় একটি আপেল নিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এরপর সøাইস করে কেটে ওপরে ছড়িয়ে দিন কিছুটা লবণ। সকালে উঠে এই আপেল ও লবণ খেয়ে নিন। এতে করে দূর হয়ে যাবে দীর্ঘস্থায়ী মাথাব্যথার সমস্যা। এ্যাজমার প্রকোপ কমাতে ১ টেবিল চামচ মধুতে আধা টেবিল চামচ দারুচিনি গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে খেয়ে নিন। রাতে ঘুমানোর পূর্বে এই মিশ্রণটি খাবেন। এতে ভাল ফল পাবেন। অকালে চুল পাকার সমস্যা শুকনো আমলকী কেটে নারকেল তেলে ফুটিয়ে নিন। এই তেলটি প্রতিদিন মাথার ত্বকে চুলের গোড়ায় ভাল করে ম্যাসেজ করে নিন। চুল পাকা কমে যাবে। মেয়েদের পিরিয়ডের ব্যথা দূর করতে ঠাণ্ডা পানিতে ২ টি গোটা লেবুর রস গুলে নিন। এই পানীয় পান করুন ব্যথা না কমা পর্যন্ত। পেট ফাঁপার সমস্যায় ১ কাপ পানিতে ১/৪ চা চামচ বেকিং সোডা গুলে মিশ্রণ তৈরি করুন। পেট ফাঁপার সমস্যায় এই মিশ্রণটি পান করুন। সমস্যা খুব দ্রুত সমাধান হবে। চুলের খুশকি দূর করতে রাতে ঘুমানোর পূর্বে চুলে কর্পূর মেশানো নারকেল তেল লাগিয়ে ঘুমান। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুশকি দূর হয়ে যাবে। এছাড়া প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে শাক-সবজি খাদ্য তালিকায় রাখলে তা হবে শরীরের জন্য মহাওষুধ। উচ্চ রক্তচাপ থাকলে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি যেমন আলু, কচু, ঢেঁড়স, ঝিঙে, বীট, গাজর, মিষ্টিআলু বা রাঙাআলু, মটরশুঁটি, পালং শাক, বাঁধাকপি, নটেশাক ইত্যাদি নিয়মিত আহারের তালিকায় রাখুন। এছাড়া সজনে পাতা সেদ্ধ ভাতের সঙ্গে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা রসুনেরও উচ্চ রক্তচাপ কমিয়ে আনার ক্ষমতা রয়েছে। তাই নিয়মিত এক কোয়া করে কাঁচা রসুন ভাতের সঙ্গে খেলে উপকার পাবেন। তেলকুচা, করল্লা, মেথি শাক, কচি নিমপাতা, হেলেঞ্চা শাক ডায়াবেটিস রোগের মহৌষধ। ডায়াবেটিস রোগে সাদা বেগুন দারুণ উপকারী। এছাড়া কলার থোড়, মোচা, ঢেঁড়স, ডুমুর, পালং শাক ইত্যাদিও উপকারী। কাঁচা রসুন রক্তে সুগারের পরিমাণ কমিয়ে আনতে সক্ষম। চোখের সমস্যা প্রতিরোধে শিশুদের প্রথম থেকেই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো উচিত। গাজর, বাঁধাকপি, লেটুস, পালং শাক, টমেটো, নটে শাক, মেথি শাক, সরষে শাক, লাল শাক, সজনে ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়া দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর জন্য বথুয়া এবং গিমা শাক দারুণ উপকারী। ত্বক পরিষ্কার ও রক্ত পরিশোধনের জন্য কিছু শাকসবজি বেশ উপকারে লাগে এবং চর্মরোগের আক্রমণ প্রতিরোধ করতে পারে। মেথি শাক, নুনিয়া শাক, নটে শাক, নিম পাতা, হেলেঞ্চা শাক, করলা, কাঁচা হলুদ ইত্যাদি খেলে চর্মরোগের বিরুদ্ধে দেহের ভেতরে একটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। খোস পাঁচড়া বা চুলকানি সারাতে নিমপাতা ভাজা, কাঁচা রসুন এবং হেলেঞ্চা শাক বেশ কার্যকরী। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কয়েকটি সবজি রাখলে এ্যাসিডিটির সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। কলার থোড় খেলে হজম শক্তি বাড়বে। গিমা শাক, পুদিনা, চিচিঙা, পোটল, কাঁকরোল ইত্যাদি সবজি খেলে এ্যাসিডিটি ও গ্যাসের প্রকোপ কমবে। এ্যাসিডিটি ও গ্যাসজনিত পেট ফাঁপায় সরষে শাক ও থানকুনি শাক বেশ কার্যকরী। -যাপিত ডেস্ক
×