ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সুনামগঞ্জে ডাক্তার নেই

দশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন বন্ধ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

দশ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ, ২৪ সেপ্টেম্বর ॥ চিকিৎসক সংকট ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে সুনামগঞ্জের ১০ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা মুখথুবড়ে পড়েছে। এতে হাওড়পাড়ের লক্ষাধিক মানুষ কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত। চিকিৎসক সঙ্কটের অভাবে উপজেলাগুলোতে সাধারণ রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছে স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা থেকে। জানা গেছে, উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রসূতি মায়ের সিজারিয়ান ও সাধারণ অপারেশন করার জন্য জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনোকলজিস্ট, জুনিয়র কনসালটেন্ট এনেস্থেসিয়া ও জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি নামে ৩টি পদ রয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি কমপ্লেক্সে একটি করে অপারেশন কক্ষ এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও রয়েছে। তবে এখানে ওই তিনটি পদে চিকিৎসক না থাকায় মহিলাদের সিজার ও সাধারণ অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না। জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, দিরাই, শাল্লা, জামালগঞ্জ, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ধর্মপাশা ও জগন্নাথপুর দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে অপারেশন বন্ধ রয়েছে। অপারেশনের পাশাপাশি অপারেশনের কক্ষটিও তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। জেলা সদর ছাড়া এই ১০ উপজেলায় চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে প্রসূতি সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সরকারের নিরাপদ প্রসূতি সেবার কার্যক্রমে বিঘœ ঘটছে বলে স্বীকার করলেন সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস। শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, এখানে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসক সঙ্কট রয়েছে। চিকিৎসক সঙ্কটের কারণে উপজেলায় চিকিৎসা সেবায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। এছাড়াও অপারেশেন থিয়েটার কক্ষের ইনচার্জ নার্সও নেই। সব মিলিয়ে এখানে অপারেশন করা সম্ভব হয় না। তিনি আরো বলেন, আমি এখানে যোগদান করার পর একদিনও এখানে অপারেশনের কার্যক্রম চলেনি। দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মণি রানী দাস বলেন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনোকলজিস্ট, জুনিয়র কনসালটেন্ট এনেস্থেসিয়া ও জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি পদ শূন্য থাকায় এখানে অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না। জামালগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মণিস্বর চৌধুরী বলেন, এখানে চিকিৎসক সঙ্কট রয়েছে। অপারেশন কক্ষ থাকলেও চিকিৎসক না থাকায় আমরা প্রসূতিদের জরুরী অপারেশন করতে পারি না। এসব বিষয় কর্তৃপক্ষ অবগত আছেন। সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস বলেন, জেলার সদর ছাড়া ১০ উপজেলায় অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না। জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনোকলজি, জুনিয়র কনসালটেন্ট এনেস্থেসিয়া ও জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি চিকিৎসক নেই। সদর উপজেলায়ও এখন ৩টি পদ শূন্য রয়েছে। ফলে চিকিৎসা সেবায় অনেক বিঘœ ঘটছে। এই বিষয়গুলো নিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করা যাচ্ছে অচিরেই অপারেশন কার্যক্রম শুরু হবে।
×