ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

খামখেয়ালি সভার ৪৪তম আড্ডা

প্রকাশিত: ০৪:৪৮, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

খামখেয়ালি সভার ৪৪তম আড্ডা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলা গানের নান্দনিক বিকাশের ধারাটি রবীন্দ্রনাথের হাতেই পূর্ণতা পেয়েছে। সে সময় প্রচলিত হিন্দুস্থানী সঙ্গীতের গৎবাঁধা রীতি থেকে রবীন্দ্রনাথ বাংলা গানকে মুক্ত করে ঐশ্বর্যময় করে তোলেন-যা আজ বাঙালীর এক অক্ষয় সম্পদ। সম্প্রতি খামখেয়ালি সভার ৪৪তম আড্ডায় অধ্যাপক ড. করুণাময় গোস্বামীকে উদ্ধৃত করে এমন অভিমত ব্যক্ত করেন প্রধান আলোচক মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অন্যতম ট্রাস্টি, গবেষক ও প্রাবন্ধিক মফিদুল হক। এদিন ‘করুণাময় গোস্বামীর চোখে রবীন্দ্রনাথের গান’ শিরোনামে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাবন্ধিক খালেক মল্লিক। সভাপতিত্ব করেন খামখেয়ালি সভার সভাপতি মাহমুদ হাশিম। আড্ডা সঞ্চালনা করেন সভার সদস্য ইয়াতসিংহ শুভ। সভাপতির বক্তব্যে মাহমুদ হাশিম ড. করুণাময় গোস্বামীকে উদ্ধৃত করে বলেন, সমাজে, দেশে দেশে এত হানাহানির একটি বড় কারণ ঐশ্বর ভাবনায় অনৈক্য। রবীন্দ্রনাথ তার সাহিত্যকৃতি বিশেষ করে সঙ্গীতের মাধ্যমে যে ঈশ্বরের ধারণা তৈরি করেছেন সে ঈশ্বর কোন ধর্মের ঈশ্বর নয়। সে ঈশ্বর বা জীবনদেবতা ভাব ও সৌন্দর্যের- সে ঈশ্বর সকল মানুষের। রবীন্দ্রনাথের এ ঈশ্বর ভাবনা সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান তৈরি করতে পরে বলে বিশ্বাস ছিল করুণাময় গোস্বামীর। আড্ডার সাংস্কৃতিক পর্বে রবীন্দ্রনাথের গান শোনান শিল্পী চঞ্চল খান ও শিল্পী তানজীনা তমা। তারা একি সত্য সকলি সত্য, প্রাঙ্গণেমোর শিরীষ শাখায়, আজি সাঁঝের যমুনায়, দেখ দেখ শুকতারা আঁখি মেলে চায়, তোমরা যা বলো তাই বলো, তবু মনে রেখ, আমরা মুক্তি আলোয় আলোয়সহ বেশকিছু গান শোনান।
×