ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মহাস্থানগড়ে করতোয়ার ওপর নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ

প্রকাশিত: ০৭:১৯, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মহাস্থানগড়ে করতোয়ার ওপর নির্মিত হচ্ছে ব্রিজ

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ জাতীয় মহাসড়কে বগুড়ার মহাস্থানগড়ে গত শতকের পঞ্চাশের দশকে করতোয়া নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি সময়োপযোগী করে তুলতে শক্ত কাঠামোয় নতুন করে নির্মিত হচ্ছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর সূত্র জানায়, জাতীয় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বেড়ে যাওয়ায় মহাস্থানগড়ের এ সেতুসহ দেশের ঝুঁকিপূর্ণ ৬০ সেতু পুনঃনির্মাণের জন্য জাপান সরকারের একটি প্রকল্পের আওতায় সেতুগুলো নির্মিত হবে। ইতোমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক দরপত্র হওয়ায় আনুষঙ্গিক কাজ সারতে কিছুটা সময় নেবে। সে হিসাবে কাজ শুরু হতে আরও অন্তত এক বছর সময় লাগবে। এ সেতুর ওপর দিয়ে রংপুর বিভাগের ৮ জেলা ও জয়পুরহাট জেলাসহ মোট ৯ জেলার যানবাহন চলাচল করে। গেল ৯ আগস্ট সেতুর একটি গার্ডারে ফাটল দেখা দেয়ার পর তার বিস্তৃতি ঘটে চারটি গার্ডারে। বগুড়া সওজ বিভাগ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। ঝুঁকিপূর্ণ এ গার্ডারের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল সাময়িক বন্ধ করে দিয়ে ১০ কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথ চালু করা হয়। গার্ডারের ফাটল অংশের ওপর দ্রুত একটি অপ্রশস্ত বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করে ১৪ আগস্ট বিকেল থেকে একমুখী করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এক প্রান্তের কিছু যানবাহন পারাপার করার সময় অপর প্রান্তের যানবাহন কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়। তারপর অপর প্রান্তের যানবাহন পারাপার করার সময় আরেক প্রান্তের যানবাহন বন্ধ করা হয়। এ ব্যবস্থায় কখনও কখনও যানবাহনের চাপে জটও লেগে যায়। জটের সময়গুলোতে দূরপাল্লার যানবাহনের গন্তব্যে পৌঁছতে অনেকটা সময়ও লাগে। কখনও চালকরা মহাস্থান সেতুর কাছাকাছি এসে জটের কথা শুনেই দক্ষিণের দিকে যাওয়া যানবাহনগুলো মোকামতলা থেকেই পথ ঘুরিয়ে বিকল্প পথে শিবগঞ্জের আমতলী হয়ে ভেতরের দিক দিয়ে মহাস্থানগড় অতিক্রম করে। আবার বৃহত্তর রংপুর ও বৃহত্তর দিনাজপুরের দিকে যাওয়া যানবাহনগুলো মহাস্থানগড় থেকেই শিবগঞ্জের রাস্তা ধরে আমতলী হয়ে জাতীয় মহাসড়কে পৌঁছে। বিকল্প এ পথেও গন্তব্যে পৌঁছতে বাড়তি সময় নেয়। গত কোরবানির ঈদের সময়ে যানবাহনের চাপে দীর্ঘ জট লেগে যায়। বর্তমানে ওই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেলে জট লেগে যায়। উল্লেখ্য, ১৯৫৭ সালে ৭৮ মিটার দৈর্ঘ্যরে অপ্রশস্ত এ সেতুটি নির্মাণের সময় যানবাহন চলাচল করত দিনে প্রায় এক শ’টি। বর্তমানে এ সেতুর ওপর দিয়ে ভারি-মাঝারি ও হাল্কা যানবাহন চলাচল করে প্রতিদিন গড়ে সাত হাজারটি। সওজ বিভাগের সূত্র জানায়, এ সেতু অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান ক্ষতিগ্রস্ত সেতুকেই স্টিলের খুঁটি বসিয়ে শক্তিশালী করে টিকিয়ে রাখা হচ্ছে, যাতে যানবাহন ভালভাবে চলতে পারে। বেঁকে যাওয়া চারটি গার্ডারে স্টিলের খুঁটি দিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে। প্রতিটি গার্ডারে ১০টি করে স্টিলের মোট ৪০টি খুঁটি স্থাপনের কাজ শেষের পথে। একই সূত্র জানায়, যানজটের চাপ কমিয়ে আনতে শুকনা মৌসুমেই এ সেতুর ধারে নতুন করে অস্থায়ী আরেকটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
×