ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী লিলিয়ান আর নেই

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী লিলিয়ান আর নেই

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ছিলেন লিলিয়ান বেতনকু্যঁ। তিনি বিশ্বের বৃহত্তম প্রসাধনী লরিয়াল কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা লুইস মেডেলেইন ব্যর্থ এবং ইউজিন শ্যুলারের একমাত্র সস্তান। ১৯২২ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। লিলিয়েন এর পাঁচ বছর বয়সে তার মা মারা যান ফলে তার বাবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধন গড়ে ওঠে। লিলিয়ান ১৫ বছর বয়সে একজন শিক্ষানবিস হিসেবে বাবার কোম্পানিতে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৫৭ সালে তার বাবা মারা গেলে উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি কোম্পানির মালিক হন। বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বস ও ব্লুমবার্গের বিলিয়নিয়ার সূচক অনুযায়ী, তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী। ২০১২ সাল পর্যন্ত কোম্পানির বোর্ড সভায় প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। লরিয়াল কোম্পানির প্রেসিডেন্ট জ্যঁ পল আগো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘লিলিয়ান সব সময় লরিয়াল ও এর কর্মীদের খোঁজখবর রাখতেন। আমরা সবাই তাঁর গুণমুগ্ধ ছিলাম। তিনি এ কোম্পানির সফলতা ও উন্নতির জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। ৮৯ বছর বয়সে কাজ থেকে অবসর নিয়েছিলেন লিলিয়ান। লিলিয়ানের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। ১৯৫০ সালে, তিনি ফরাসী রাজনীতিবিদ আন্দ্রে বেটেনকোর্টের সঙ্গে বিয়ে করেন, যিনি ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে ফরাসী সরকারের মন্ত্রিসভায় মন্ত্রিসভা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং লরিয়েলের ডেপুটি চেয়ারম্যান পদে উন্নীত হন। ২০০৫ সালে, ফোর্বসের জরিপ মতে বিশ্বের ৩৯তম শক্তিশালী নারী হিসেবে গণ্য হয় লরিয়েল। ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে বেইনটেনকোর্ট মারা যান। ১৯৮৭ সালে লিলিয়ান বেতনকু্যঁ, তার স্বামী ও কন্যার সঙ্গে, চিকিৎসা, সাংস্কৃতিক এবং মানবিক প্রকল্প ইবঃঃবহপড়ঁৎঃ ঝপযঁবষষবৎ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ফাউন্ডেশন ফ্রান্সের নেউলি-সুর-সাইনে অবস্থিত। ফাউন্ডেশনের সম্পদের পরিমাণ ১৫০ মিলিয়ন ফ্রাঁ। যা থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ অর্থ তার বৈজ্ঞানিক শিক্ষা এবং গবেষণায় এবং ৩৩ শতাংশ মানবিক ও সামাজিক প্রকল্পগুলোতে এবং ১২ শতাংশ সংস্কৃতি ও কলাগুলোর জন্য বরাদ্দ করেন। ২০০৪ সালে ফাউন্ডেশনটি মেসি মারমোতান মোনাতে নতুন মোনাস উইংকে সাহায্য প্রদান করে। বিপরীতে, ২০০৭ সালে বেটেনকোর্ট যৌথভাবে ‘ব্ল্যাক প্ল্যানেট এ্যাওয়ার্ড’ নামে একটি পুরস্কার লাভ করে, যা পিটিট্রি ব্র্যাচ-লাটমথের সঙ্গে শিশু খাদ্যে দূষণরোধ এবং শিশুশ্রমকে নিরুৎসাহিত করার জন্য। অর্থনীতি ডেস্ক
×