ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুশফিকদের প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র

প্রকাশিত: ০৬:৪১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭

মুশফিকদের প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একমাত্র তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে মাত্র ১ রানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ দল। ৭ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিন দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৮ উইকেটে ৩১৩ রান নিয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ৬ রান তুলেছিল সফরকারীরা দ্বিতীয় ইনিংসে। তৃতীয় দিন মাত্র ৯৬ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে মুশফিকুর রহীমের দল। শেষ পর্যন্ত ইমরুল কায়েস ও সাব্বির রহমানের অর্ধশতকে ৯ উইকেটে ২৩৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ২২৮ রানের লিড নেয় বাংলাদেশ। দিনের তখন মাত্র ৩০ ওভার বাকি থাকায় আর ব্যাটিংয়ে নামেনি প্রোটিয়ারা। ম্যাচ ড্র ঘোষণা করা হয়। এই ম্যাচের প্রথম দিনেই ইনজুরিতে পড়েছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এবার হাতে আঘাত পেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে পারেননি আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। ব্যাটিং-বোলিংয়ের প্রস্তুতিটা ভাল হলেও তাই এ দুটি দুঃসংবাদে বিপর্যস্ত ও দুশ্চিন্তায় সফরকারীরা। বাংলাদেশের বোলারদের বেশ কঠিন পরীক্ষাতেই ফেলেছিলেন স্বাগতিক দলের আমন্ত্রিত একাদশের ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু তারা ৭ রানে এগিয়ে থেকে আগের দিন ইনিংস ঘোষণা করেছিল। এরপর বাংলাদেশ দল ব্যাটিংয়ে নামে দুই নিয়মিত ওপেনার তামিম ও সৌম্যকে ছাড়াই। দ্বিতীয় দিন ফিল্ডিংয়ের সময় হাতে আঘাত পেয়েছেন সৌম্য। তার ইনজুরি কতটা গুরুতর তা এখনও বোঝা যায়নি। স্ক্যান রিপোর্ট হাতে আসার পরই জানা যাবে কেমন অবস্থায় রয়েছে তার ইনজুরি। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে মাঠে নামেননি প্রথম ইনিংসে ৪৩ রান করা বাঁ-হাতি এ ব্যাটসম্যানও। এবার সৌম্যকে নিয়েও তৈরি হলো সংশয়। এ দু’জনের পরিবর্তে লিটন দাস ও তৃতীয় ওপেনার হিসেবে যাওয়া ইমরুল ওপেনিংয়ে নামেন। প্রথম ইনিংসেও ব্যর্থ লিটন এবার ওপেনিংয়ে নেমেও হয়েছেন ব্যর্থ (২)। তবে ইমরুল ব্যর্থতা কাটিয়েছেন। অপরপ্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও তিনি বেশ সাবলীল খেলে করেছেন ৫১ রান। মাত্র ৫৪ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় এ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে মুমিনুল হককে নিয়ে ৭১ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপদ কাটান। মুমিনুল প্রথম ইনিংসে অর্ধশতক হাঁকানোর পর এদিন ৩৩ রান করেন ৩৮ বলে ৬ চারে। তবে অধিনায়ক মুশফিক (৩) এবং আবার ব্যর্থ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ (১৫) দ্রুতই সাজঘরে ফেরেন। ৬ নম্বরে নেমে প্রথম ইনিংসের মতোই আবার হাল ধরেন সাব্বির। আবার হাঁকান অর্ধশতক। তিনি ৯৮ বলে ৮ চারে ৬৭ রান করলে সম্মানজনক একটি সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। লেগস্পিনার শন ভন বার্গ একাই ৭৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের বিপদে ফেলেন। আরেক বাঁহাতি স্পিনার লিউস ডু প্লুই ২ উইকেট নেন। ৯ উইকেটে ২৩৫ রান করার পর ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদ (১৪) ও শুভাশিষ রায় (৩) তখন ব্যাট করছিলেন। ২২৮ রানে এগিয়ে থাকে বাংলাদেশ। তবে মাত্র ৩০ ওভার বাকি ছিল তখন দিনের। এ কারণে আর প্রোটিয়া আমন্ত্রিত একাদশ ব্যাট করতে নামেনি। ম্যাচ রেফারি ও আম্পায়াররা ম্যাচ ড্র ঘোষণা করেন এবং উভয় দল তাতে সম্মত হয়।
×