স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার আর মাত্র মাঝে চারদিন বাকি। কিন্তু এর আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরকারী বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে তামিম ইকবালের ইনজুরি। দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য এ ব্যাটসম্যান দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের বিরুদ্ধে তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমে প্রথম দিনেই ইনজুরিতে পড়েন। এরপর শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল তার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য। শুক্রবার রাতে জানা গেল এ বাঁহাতির বাঁ পায়ের পেশিতে ‘গ্রেড ওয়ান’ টিয়ার শনাক্ত করা হয়েছে। এ ধরনের ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর পচেফস্ট্রমে শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টেই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তামিমের খেলা।
এবার দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ২ টেস্ট, ৩ ওয়ানডে ও ২ টি২০ ম্যাচের লম্বা সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। এই পূর্ণাঙ্গ সিরিজের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকা আমন্ত্রিত একাদশের বিরুদ্ধে খেলেছে বাংলাদেশ দল। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া সেই প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনেই ইনজুরিতে পড়েন তামিম। বাঁ পায়ের মাংসপেশিতে টান পড়ায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি মাত্র ৫ রানে। এরপর আর ঝুঁকি নেয়া হয়নি। কারণ, বাংলাদেশ দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান তিনি এবং দারুণ ফর্মেও আছেন।
চোটের ধরন জানতে অপেক্ষা করা হয়েছিল শুক্রবার পর্যন্ত। চোটের ধরন জানার পর, অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তামিমের প্রথম টেস্ট। জানা গেছে, তামিমের বাঁ পায়ের পেশিতে ‘ গ্রেড ওয়ান টিয়ার’ ধরা পড়েছে। চোটগ্রস্ত পেশিতে স্ক্যান করানোর পর এ দুঃসংবাদ জেনেছেন বাঁহাতি ওপেনার। এ জাতীয় চোট সারতে সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। সে ক্ষেত্রে ২৮ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে তামিমকে ছাড়াই নামতে হতে পারে মুশফিকুর রহীমদের। এই টেস্টের আর মাত্র বাকি মাঝে ৪ দিন। এই চারদিনে সুস্থ হওয়া প্রায় অসম্ভব। কারণ স্ক্যান রিপোর্টে যে ইনজুরি পরিস্থিতি ধরা পড়েছে সেখান থেকে সেরে ওঠার জন্য বেঁধে দেয়া সময়সীমা অনুসারে কমপক্ষে ৭ দিন লাগবেই। এরপরও যদি বাংলাদেশ দল তাকে পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগেই মাঠে নামায়, সেক্ষেত্রে ম্যাচের তৃতীয় দিন তামিম সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় সময় শুক্রবার বিকেলে স্ক্যানের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর জানা যায় চোটের মাত্রা এবং এ থেকে সেরে ওঠার সময়কাল। অবশ্য ডাক্তাররা আগেই জানিয়েছিলেন দুইদিন পরিপূর্ণ বিশ্রামের পর ব্যথা থাকলে পরবর্তীতে আরও বিশ্রাম নিতে হবে। অবশ্য তামিম তার ইনজুরির পরও আশা ছাড়েননি প্রথম টেস্ট খেলার। তিনি বলেছেন, ‘বলতে পারেন ফিফটি-ফিফটি সুযোগ আছে। সবটাই নির্ভর করছে আমি কতটা দ্রুত সেরে উঠতে পারি। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে বুঝতে পারব কতটা দ্রুত সেরে উঠছি। এরপরই সিদ্ধান্ত জানাতে পারব।’ তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচেও আর মাঠে নামেননি তামিম। কিন্তু স্ক্যান রিপোর্ট অনুসারে তাকে এখন অপেক্ষায় থাকতে হবে। আর বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্টও একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তামিমকে একাদশে নেয়ার জন্য এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। নয়ত ফর্মের তুঙ্গে থাকা এ ওপেনারকে ছাড়া প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হবে বাংলাদেশ দলকে।